সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে ফের জটিলতা দেখা দিয়েছে। এক বছর ধরে দায়িত্বের বাইরে থাকা সাবেক সভাপতি নাসিম হোসেইনকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ধূম্রজাল। কেন্দ্রীয় ঘোষণায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পরবর্তীতে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ – সব মিলিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র বিভ্রান্তি।
দলের সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে নাসিম হোসেইনের ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের’ কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে নাসিমের কোনো পদই বিএনপি স্থগিত করেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন আরেকটি সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়—ভুলবশত সভাপতি নাসিম হোসেইনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ হয়েছিল, আসলে তাঁর পদ কখনও স্থগিত ছিল না।
এদিকে নাসিম হোসেইন দাবি করছেন, তিনি এখনও সিলেট মহানগর বিএনপির বৈধ সভাপতি। তাঁর ভাষায়, “পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সময় সভাপতি পদটি শূন্য রাখা হয়েছিল। আমার দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।”
অন্যদিকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, “পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নাসিম হোসেইনকে রাখা হয়নি। তাই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে তাঁর কোনো নির্দেশনা নেই। আমি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছি।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১০ মার্চ মহানগর বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন নাসিম হোসেইন। ২০২4 সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশে চলে গেলে ১ আগস্ট মিফতাহ্ সিদ্দিকীকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয় কেন্দ্র। পরে ৪ নভেম্বর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে ১৭০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক দুটি বিজ্ঞপ্তি একটি ভুল, একটি সংশোধিত—নেতৃত্ব সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। ফলে এখনো প্রশ্ন থেকে গেছে: নাসিম না কয়েস কে সভাপতি? সিলেট মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে এই প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















