সিলেট নগরের বাদামবাগিচায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্কুলছাত্র শাহ মাহমুদ হাসান তপু (১৫) হত্যা মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত তপুর মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি মো. জাহিদ হাসানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে— জাহিদ হাসান, অনিক মিয়া ও জুনেদ আহমদ। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৪–৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার ভিত্তিতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম জানান, মামলায় নাম থাকা তিনজন আসামিকে ঘটনার পরপরই আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে বাদামবাগিচা এলাকায় তপুর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তপু ছিল খাসদবির উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ইলাশকান্দি বাদামবাগিচার উদয়ন ৪০/২ আবাসিক এলাকার শাহ এনামুল হকের ছোট ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
পুলিশ সূত্র বলছে, তপু ও জাহিদ একই এলাকায় বড় হওয়া বন্ধু হলেও দুজনই ভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আধিপত্যবিরোধী দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে ওই রাতে তাদের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তপু জাহিদকে মারধর করে; এরপর প্রতিশোধ নিতে জাহিদই তাকে ছুরিকাঘাত করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তপুর দাফন সম্পন্ন হয়। পুলিশ বলছে, কিশোর গ্যাংয়ের টানাপোড়েন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















