সিলেটে গণপরিবহনে বিশেষ কৌশলে ছিনতাই করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই দিনে একই ধরনের দুটি ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে।
জানা গেছে, সিলেটে নগরের বটেশ্বর থেকে টিলাগড় সড়কে চলাচলকারী লেগুনাগুলোতে নারী সদস্যসমৃদ্ধ একটি চক্র যাত্রীদের লক্ষ্য করে কাজ করছে। তারা সাধারণত ২–৩ জন নারী ও একজন পুরুষ সদস্য নিয়ে লেগুনায় ওঠে। এরপর যাত্রীদের গায়ে, বোরখায়, ব্যাগে বা হাতের কাছে জেলজাতীয় পিচ্ছিল পদার্থ লাগিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতির সুযোগে অত্যন্ত নিখুঁত কৌশলে ব্যাগের চেইন খুলে টাকা বা মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেয়।
এক ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, প্রতিদিন সকালে কাজে যাওয়ার জন্য লেগুনা ব্যবহার করেন তিনি। একদিন লেগুনায় ৩–৪ জন নারী উঠে বসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজের শরীর ও ব্যাগে জেল জাতীয় পদার্থ দেখতে পান। ওই নারীরা তা পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখে। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন, ব্যাগের ভেতর থেকে টাকা নিয়ে গেছে চক্রটি।
এরপর একই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় রবিবার দুপুরে বটেশ্বর–টিলাগড় রুটেই। এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের পাশে বসে থাকা তিন নারী বিভিন্নভাবে ব্যাগ ধরতে ও সঠিকভাবে রাখতে বলছিলেন। সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে এক যাত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত নেমে যান। পরে তিনি দেখেন ওই শিক্ষার্থীর বোরখা ও ব্যাগেও একই ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ লেগে আছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, চক্রটির সদস্যরা সাধারণত বোরখা–নিকাব পরিধান করেন এবং তাদের মধ্যে একজন পুরুষও থাকে। এদের শারীরিক গঠন তুলনামূলক স্বাস্থ্যবান এবং একজন লম্বা সদস্যের চোখে সমস্যা রয়েছে বলে বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, সংগঠিত এই দলটি সিলেটের বাইরের হতে পারে এবং তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রীদের টার্গেট করে থাকতে পারে।
সচেতন নাগরিকরা যাত্রীদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাগ বা মূল্যবান জিনিসপত্র সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, যেকোনো সন্দেহজনক আচরণ দেখলে লেগুনা থেকে নেমে যাওয়া ও প্রয়োজনে পুলিশকে খবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জুনেদ আহমদ 



















