সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 
ত্রয়োদশ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ১ আসনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীরা।
এ আসনে বিএনপির ৭ জন জামায়াতে ইসলামীর ১ জনসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীর রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে নির্বাচনী এলাকায় বইছে ভোটের হাওয়া। হাওর অঞ্চলের গ্রামগঞ্জে। জেলার ৫ টি আসনের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সুনামগঞ্জ জেলার ১ আসন।
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি জেলা সদর থেকে পরিচালিত হয়। এতে সুনামগঞ্জ ১ আসনটি সকলের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ আসনে আগে ভাগে একক প্রার্থী ঘোষনা করে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর, তোফায়েল আহমেদ খাঁন।
তিনি ইতিমধ্যে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ ১-(ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মাটি ও মানুষের নেতা আনিসুল হক।
তাছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনীত হিসেবে টেলিভিশনের ফিতায় প্রচার দেওয়া হলেও,কিছুক্ষণ পরে থাকে বাদ দিয়ে,সাবেক এমপি প্রয়াত নজির হোসেনকে মনোনয়ন দিয়ে প্রচার দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে আষ্টেপৃষ্টে লেগেই আছেন তিনি।
তাছাড়া দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি জন সেবার উদ্দেশ্যে দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে অনেক আর্তিক অনুদান দিয়ে আসছেন। এবং ২০১০ সাল থেকেই নির্বাচনী গনসংযোগ এবং পথসভা শুরু করেন। ঘন ঘন পথসভা জনসভা করে জনগণকে বলে বেড়াচ্ছেন যে, আগামী নির্বাচনে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন, বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য আহবান জানাচ্ছেন।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
এ আসনে আরেক শক্তিশালী জননেতা তারুণ্যের ও গণমানুষের নেতা, সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি দির্ঘদিন ধরে ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এবং জেলা বিএনপির দুঃসময়ের একজন পরীক্ষিত নেতা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী হিসেবে তিনি ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন।
তাছাড়াও প্রচারে সরব রয়েছেন মাহবুবুর রহমান, তিনি বিগতদিনে শহীদ জিয়া`র আদর্শের সৈনিক এবং বিএনপির নিবেদিত কর্মী হিসেবে, সুনামগঞ্জ জেলা ছাএদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সন্মানিত সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) এর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডিজিটাল যুগের যুব সমাজের সৃজনশীলতার রাজনৈতির আইকন হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন। তরুণদের আস্থার প্রতীক ও তারুণ্যের অহংকার, জনবান্ধব তরুণ ক্লিন ইমেজের জননেতা মাহবুবুর রহমান বিএনপির দুঃসময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে রাজনৈতির মাঠে সামাজিক যোগাযোগের অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন।
এর মধ্য নেমেছেন নতুন মুখের হেভিওয়েট প্রার্থী,তরুণ ক্লিন ইমেজের ছাত্র নেতা,কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সহ সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সহ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন,তিনি যুবসমাজের সৃজনশীলতা সহ রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন শীল রাজনীতির আইকন হিসেবে মানুষের মুখে মুখে আলোচনায় উঠেছেন।
আরেক বিএনপির প্রবীন ও ত্যাগী নেতা, জেল বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী ও কারানির্যাতিত,আব্দুল মোতালিব খান, মাঠে নেমেছেন প্রচারে। এবং ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও জনসভা শুরু করছেন।
সাবেক এম পি মরহুম নজির হোসেনের সহধর্মিণী সালমা নজির,নির্বাচনী মাঠে শোডাউন পথসভা করে প্রচারনা করছেন এবং শক্ত হাতে কেন্দ্রীয় ভাবে লাভিং করছেন। তিনি ভোটারদের কব্জায় রাখতে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নজির অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ ও খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এছাড়াও যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক,যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দি তিনিও আছেন মাঠে ।
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসনে জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
প্রার্থী বদলের দাবী নিয়ে দলের মধ্যে নানা গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির এ দ্বিধাদ্বন্দকে কাজে লাগিয়ে দূর্বার গতিতে মাঠে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিএনপি সহজেই এ আসনে ধরাশায়ী হতে পারে বলে ভোটাররা মনে করছেন।
এই আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬ শত ৯৫ জন, এতে নারী ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৭ শত ১ জন, পুরুষ ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮ শত ৮৯ জন,তাছাড়া হিজরা -৫ টি ভোট রয়েছে।
