মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এক কলেজছাত্রী কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে। আড়াই মাসেও অপহৃত কলেজছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় প্রবাসী বাবাসহ স্বজনদের মাঝে অজানা উদ্বেগ-আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব-দৌলতপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাজেরা বেগমের নাতনি ও দুবাই প্রবাসী সমছুল হকের মেয়ে বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে শ্রীধরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে শামীম আহমদ উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে সে প্রেমের প্রস্তাব দিলে কলেজছাত্রী তা প্রত্যাখান করে। এর জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে কলেজছাত্রী হাবিবা আক্তার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শামীম আহমদ ও তার সহযোগিরা জোরপূর্বক একটি লাইটেসে উঠিয়ে অপহরণ করে। ঘটনার দুইদিন পর ভিকটিমের নানি সাবেক ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন, থানায় জিডির পর পুলিশের পরামর্শে কয়েক হাজার টাকা ব্যয়ে সিডিআর তোলে ভিকটিম ও অপহরণকারির অবস্থান শনাক্ত করেন। জানানোর পরও উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। অপহরণে জড়িত চক্রের সকল তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এর আগে মে মাসে শামীম আহমদ আমার নাতনিকে অপহরণ করে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারিকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু, সে সময় পুলিশ অপহরণ মামলা না নিয়ে অপহরণকারিকে ছেড়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে কোনো সন্ধান না পাওয়ায় আমরা অজানা উদ্বেগ-আতংকে ভোগছি।
এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, ভিকটিম কলেজছাত্রী এর আগেও নিখোঁজ হলে পুলিশ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে দিয়েছে। ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান শুরুর আগেই স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার অভিযান করা যায়নি। তবে, পুলিশের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।

বড়লেখা প্রতিনিধি 



















