, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটের বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ চাচা গ্রেপ্তার বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট প্রেসক্লাব মেম্বারস ফ্যামিলি ডে উদযাপন মৌলভীবাজারে বাছুরসহ গাভি চুরি, বিধবার চোখে নেই শান্তি সিলেটে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের দুই নেতা গ্রেফতার সিলেটের ওসমানীনগরে সিএনজি চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত

সুনামগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন, হাসি ফুটল কৃষকের মুখে

চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকায় এবার ধানের আশাতীত ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসি। এরই মধ্যে জেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে চলছে মাড়াইয়ের কাজ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় মোট ৮২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঊফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উৎপাদিত চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুইলাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন।

উৎপাদিত এই চালের আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে একহাজার ৬৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার মোট আবাদের ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই জেলার সব জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে।সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাওর ও ফসলের মাঠে দেখা যায়, ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এবার ধানের গাছ খুব পুষ্ট হয়েছে এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার ভালো ফলন হয়েছে এবং ন্যায্য দাম পেলে তারা লাভবান হবেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে এবং কেয়ার প্রতি ১৯ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক এই বাম্পার ফলনের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নির্বাচন, সঠিক রোপণ প্রক্রিয়া, সময়মতো জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই এই ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে, যা জেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

কৃষকদের আশ্বস্ত করে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য যথাসময়ে সার ও বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ধানকাটা ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।

জনপ্রিয়

সিলেটের বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ চাচা গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন, হাসি ফুটল কৃষকের মুখে

প্রকাশের সময় : ১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকায় এবার ধানের আশাতীত ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসি। এরই মধ্যে জেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে চলছে মাড়াইয়ের কাজ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় মোট ৮২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঊফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উৎপাদিত চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুইলাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন।

উৎপাদিত এই চালের আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে একহাজার ৬৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার মোট আবাদের ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই জেলার সব জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে।সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাওর ও ফসলের মাঠে দেখা যায়, ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এবার ধানের গাছ খুব পুষ্ট হয়েছে এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার ভালো ফলন হয়েছে এবং ন্যায্য দাম পেলে তারা লাভবান হবেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে এবং কেয়ার প্রতি ১৯ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক এই বাম্পার ফলনের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নির্বাচন, সঠিক রোপণ প্রক্রিয়া, সময়মতো জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই এই ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে, যা জেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

কৃষকদের আশ্বস্ত করে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য যথাসময়ে সার ও বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ধানকাটা ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।