হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন রাজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালুর নিচ থেকে তার স্ত্রী শাপলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাপলা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী রাজন মিয়া হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে।
কয়েক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দম্পতি মাধবপুর উপজেলার করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শাপলা স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার রাতে রাজন মিয়া স্ত্রী শাপলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ করড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমিতে বালির নিচে চাপা দেন।
পরদিন সকালে তিনি হবিগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালতের বিচারক পুলিশকে খবর দেন। পরে মাধবপুর থানা-পুলিশ রাজন মিয়াকে আটক করে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, ‘রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাপলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন।’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 
















