জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সিলেটের উন্নয়ন খাতে বৈষম্য ও বঞ্চনার প্রতিবাদে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে চলমান অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরের দিকে ডিসি সারওয়ার আলম আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে তাদের দাবিদাওয়া সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ সময় ডিসি মো. সারওয়ার আলম বলেন, “সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে আপনাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমিও এ বিষয়ে একমত। ইতোমধ্যেই সিলেটের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ এবং আম্বরখানা থেকে এয়ারপোর্ট এলাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুতই শুরু হবে। বৃষ্টিপাত কমলেই এসব কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”
রেল যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ইঞ্জিন সংকট থাকায় নতুন ট্রেন চালু করা সম্ভব নয়। তবে সিলেটের জন্য নতুন ৮টি কোচ যুক্ত করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কোচ সংযুক্ত করা যাবে না, কারণ পাহাড়ি এলাকায় ভারী ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি রেললাইন সংস্কার কাজও হাতে নেয়া হবে, তবে এটি শুরু করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।”
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা সিলেটের অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণসহ বৈষম্য দূরীকরণের দাবি জানান।
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, “সিলেটবাসী দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নে অবহেলার শিকার। আজকের এই আন্দোলন ছিল সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি, তবে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















