সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র পাল শুধু প্রশাসক নন, তিনি গোলাপগঞ্জের উন্নয়নের এক অনন্য স্থপতি। তার গতিশীল নেতৃত্বে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা আজ একটি উন্নয়নমুখী আধুনিক পৌরসভায় রূপ পেয়েছে। তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। উপজেলা এবং পৌরবাসীর কাছে পুরো গোলাপগঞ্জ আজ নতুন রুপে উদ্ভাসিত হয়েছে।
সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জনসেবামূলক স্থাপনা নির্মাণসহ নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন পৌর এলাকার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ সুরক্ষায়। নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনিক দক্ষতা ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং কর্মনিষ্ঠার ফলে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা একটি আধুনিক ও সুন্দর নগরীতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মিলটন চন্দ্র পাল । যোগদানের পর থেকে তিনি সকলকে নিজের আপন মানুষ ভেবে কাজ করছেন এবং সেটা সবার চোখেও পরেছে। তিনি তার এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভেজালবিরোধী অভিযান, পরিবেশ রক্ষার অভিযান, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
তার মানবিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের সাথে প্রশাসনের দূরত্ব অনেকটা কমে গেছে।
পৌরসভার সচেতন মহল মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ে একজন সৎ, দক্ষ,পরিশ্রমি ও পরোপকারি মানুষ মিলটন চন্দ্র পাল । তিনি সততা দিয়ে উপজেলা ও পৌরবাসীর ভালবাসা জয় করেছেন।গোলাপগঞ্জ পৌরবাসীর আস্থা, ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে মিল্টন চন্দ্র পাল উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে পৌরবাসী মনে করছেন।
নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে সড়কবাতি স্থাপন করে পৌরসভাকে সত্যিকার অর্থে আলোকিত করেছেন।
রাতে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট এখন ঝলমলে আলোয় ভরে উঠে, যা শুধু চলাচলের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করছে না, বরং অপরাধ দমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নাগরিকরা এখন নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারছেন। পৌর এলাকা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সরকারী এম সি একাডেমি স্কল ও কলেজের শেষ সীমানা থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত নষ্ট বাল্ব অপসারণ ও নতুন বাল্ব স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে বলে
জানা গেছে।
তিনি রাস্তার পাশের ঝোপেঝাড় সহ সরকারী ভূমিতে থাকা আবর্জনা অপসারন, রাস্তাঘাট সংস্কারে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমির লেকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল।
পৌর প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষে গোলাপগঞ্জে সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজের লেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। প্রায় এক যুগ পর পৌসভার উদ্যোগে লেকটি পরিস্কার করা হয়। প্রায় সপ্তাহব্যাপী এই পরিছন্ন কাজ করতে ২০-২২জন শ্রমিক কাজ করে।
সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজের এই লেকটি মাঝেমধ্যে পরিস্কার করলেও প্রায় এক যুগ থেকে কোন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। এতে লেকের মধ্যে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি ময়লায় বিবর্ন হয়ে যায়। অবশেষে লেকটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল। পৌরসভার অর্থায়নে এই লেকটি পরিস্কার করতে ১০/১২ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করেন।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত সরকারি এম.সি. একাডেমির গেট সংলগ্ন দুটি লেক দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট ছিল। পরিবেশ ও সৌন্দর্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক লেক দুটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার ফলে এখন লেক দুটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরে এসেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য এক স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সরকারী মসি একাডেমি স্কুল ও কলেজের কলেজ শাখার প্রভাষক ভানুজ কান্তি ভট্টাচার্য, প্রভাষক মো. আলাল মিয়া, প্রভাষক কোহেলি পাল চৌধুরী ও ইউএনও কার্যালয়ের কম্পিউটার কাম মুদ্রাক্ষরিক নোমান আহমদ নোশাদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল বলেন, পৌরসভার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুলের লেকটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। যাতে এই স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও আনন্দ উপভোগ করতে পরে। একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও সবুজ গোলাপগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে পৌরসভার এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গোলাপগঞ্জকে একটি জনবান্ধব উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমার সব রকম প্রচেষ্টা ছিলো, আছে এবং থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















