কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন,আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে এগ্রো ট্যুরিজম গড়ে তুলতে হবে। কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। কৃষিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃষকের লাভজনক ফসল , কৃষির উন্নতি ও ফলন বাড়ানো এবং খাদ্যভাস পরিবর্তন বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। অনাবাদি পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে তথ্য ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হতে হবে।তিনি কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈবসার ও জীবানুনাশক সার ব্যবহার এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে। বাজারে সার ও বীজসহ কৃষি পণ্যের মূল্য সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ বাড়াতে হবে।তিনি কৃষি বিষয়ক সকল পরিসংখ্যান যেন নির্ভরযোগ্য ও সঠিক হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

তিনি শুক্রবার(২২ আগষ্ট) সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উদ্যোগে অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মোশাররফ হোসেন এর সভাপত্বিতে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার দাস এর সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (অর্থ ও প্রশাসন) ইউং এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ কাজী মুজিবুর রহমান।

মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে প্রধান অতিথি সিলেট আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) এর আওতায় সুবিধাভোগী কৃষক-কৃষণীদের সাথে মতবিনিময় করেন।অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষের চারা রোপণ করেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সিলেটের বীজ,সার গুদাম ও কৃষি খামার এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরসহ চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম, বীজ ও কীটনাশকের দোকান পরিদর্শন করেন।