মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৩১ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নগরীতে ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সুরমা নদীর পানি সিলেট নগরীতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ১৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নগরীর ড্রেন-খাল ও ছড়া উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
নগরীর আম্বরখানা-বিমানবন্দর প্রধান সড়ক, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও নগরীর হাওয়াপাড়া, জালালাবাদ, পাঠানটুলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, টিলাগড়, মেজরটিলা, শাহপরাণসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় দ্রুত পানি নামছে। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের মতো দুয়েকটি জায়গা ছাড়া বেশিরভাগ জায়গার পানি নেমে গেছে।’
এদিকে সিলেটে আকস্মিক ভারী বর্ষণের ফলে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে।
সিসিক সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় তদারকি এবং জরুরি যোগাযোগের জন্য এই কন্ট্রোল রুম সিলেট সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়, কনফারেন্স রুমের কক্ষ নং ২০৫ -এ চালু করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর (মোবাইল: ০১৭১১৯০৬৬৪৭)।
এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সার্বিক তদারকির দায়িত্বে আছেন প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান (মোবাইল: ০১৭১৩৩১১৫২৬) এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অবঃ) মোহাম্মদ একলিম আবদীন (মোবাইল: ০১৭৬৯০০৫৮৬)।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সিসিকের আইসিটি শাখায় (ইমেইল: 1gcc1@lgd.gov.bd) জলাবদ্ধতা নিরসনের সর্বশেষ তথ্য ও অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিসিক আজকে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সচিবগণ নিজেদের এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন এবং তাৎক্ষণিক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা কথা বলা হয়েছে।