, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

গোলাপগঞ্জে দেবে গেছে সড়ক ও গার্ডওয়াল, ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শেষ সীমা মৌলভীখালের পৌরসভার অংশে ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্রায় ৪০ ফুট আরসিসি ঢালাই সড়ক ও গার্ডওয়াল মাটিসহ দেবে গেছে। ফলে এখন কয়েকটি পরিবার সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। যদি এই অংশ পরোপুরি ভেঙে যায়, তাহলে নদীর পানি প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী এলাকার শতাধিক পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হবে। বর্তমানে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও দুই দিকের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ৩ মাস পূর্বে গার্ডওয়াল নদীতে বিলীন হয়ে যায়। হঠাৎ করে রাতে ভেঙে নদীতে চলে যায় রাস্তাসহ গার্ডওয়াল। ফলে বিদ্যুৎবিহীন পুরো এলাকা। যাতায়াত বন্ধ। গার্ডওয়ালের পাশের বাড়ি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই তারা দ্রুত মেরামত করে শতাধিক পরিবারকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৈশলী দীপক রঞ্জন দাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে আমরা অতি দ্রত জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করে দেব।

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বলেন, ৪ বছর আগে পৌরসভার অর্থায়নে রাস্তাটি পাকাকরণ হয়েছিল। অথচ এখন আর রাস্তাটির অস্তিত্ব নেই। এখানে বিদ্যুতের খুঁটিও ঝুঁকিপূর্ণ। আজ বিশেষ সুবিধায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৈাশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করা হয়েছে। আরসিসি ঢালাই ও গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টির ফলে সুরমা ডাইকের রাস্তা দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌরসভার উদ্যোগে খুব তাড়াতাড়ি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

গোলাপগঞ্জে দেবে গেছে সড়ক ও গার্ডওয়াল, ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শেষ সীমা মৌলভীখালের পৌরসভার অংশে ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্রায় ৪০ ফুট আরসিসি ঢালাই সড়ক ও গার্ডওয়াল মাটিসহ দেবে গেছে। ফলে এখন কয়েকটি পরিবার সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। যদি এই অংশ পরোপুরি ভেঙে যায়, তাহলে নদীর পানি প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী এলাকার শতাধিক পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হবে। বর্তমানে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও দুই দিকের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ৩ মাস পূর্বে গার্ডওয়াল নদীতে বিলীন হয়ে যায়। হঠাৎ করে রাতে ভেঙে নদীতে চলে যায় রাস্তাসহ গার্ডওয়াল। ফলে বিদ্যুৎবিহীন পুরো এলাকা। যাতায়াত বন্ধ। গার্ডওয়ালের পাশের বাড়ি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই তারা দ্রুত মেরামত করে শতাধিক পরিবারকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৈশলী দীপক রঞ্জন দাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে আমরা অতি দ্রত জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করে দেব।

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বলেন, ৪ বছর আগে পৌরসভার অর্থায়নে রাস্তাটি পাকাকরণ হয়েছিল। অথচ এখন আর রাস্তাটির অস্তিত্ব নেই। এখানে বিদ্যুতের খুঁটিও ঝুঁকিপূর্ণ। আজ বিশেষ সুবিধায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৈাশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করা হয়েছে। আরসিসি ঢালাই ও গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টির ফলে সুরমা ডাইকের রাস্তা দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌরসভার উদ্যোগে খুব তাড়াতাড়ি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।