, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুবকদের মনুষ্যত্ববোধকে লালন করে মানবতার সেবা করে যেতে হবে : মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম সিলেটের দুই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : আক্রান্ত দুইজন ‘সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না’ সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েল ফেয়ার ফান্ড’ গঠনের উদ্যোগ গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিলেটে ছড়িয়ে পড়েছে চর্মরোগ স্ক্যাবিস, আক্রান্ত শিশুরা বেশি সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা সংস্কার কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন সিলেটে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাদী

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মামলার বাদীর পূর্ণ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী।

আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী তারিখে ভুুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিপি আবুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার বাদীর পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের তারিখে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আজ ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং দুইজনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‌্যাব। পরবর্তীতে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

জনপ্রিয়

যুবকদের মনুষ্যত্ববোধকে লালন করে মানবতার সেবা করে যেতে হবে : মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাদী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মামলার বাদীর পূর্ণ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী।

আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী তারিখে ভুুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিপি আবুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার বাদীর পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের তারিখে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আজ ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং দুইজনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‌্যাব। পরবর্তীতে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।