ইজারা নেই, সেই সুযোগে রাজস্ব ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তােলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে সিলেটের সীমািন্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জে। এ বালু উত্তােলনের সাথে জড়িত স্থানীয় রাজনৈতিক সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে পতিত আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতে স্থানীয় কিছু নেতা।
এ সংঘবদ্ধ চক্র এখন পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার বালু উত্তােলন করে স্টক ( স্তুপ) করে রেখেছে পিয়াইন নদীর দুই পাড়ে। নদীতে শ্যালো ও পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা মেশিন বসিয়ে ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তারা। অথচ উপজেলা প্রশাসন এ উত্তোলন বন্ধে নির্বিকার। এমনকি উত্তোলিত বালু জব্দে নেই কোন পদক্ষেপ। বালু জব্দ করলে সরকারী রাজস্ব যেমন নিশ্চিত হতো, সেই সাথে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বেআইনী তৎপরতা বন্ধ হতো।
একটি সূত্রের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের ভূমি সংশ্লিষ্টদের বাগবাটোয়ারা নিশ্চিত করেই বালু তুলছে বালু খেকো এ রাজনীতিক সিন্ডিকেট।
স্থানীয়দের মতে, এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কোন উদ্যােগ নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন। যদি জব্ধে অভিযান চালাতো তাহলে সরকারের রাজস্ব ভান্ডার ভরে উঠতো। কিন্তু সেই কাজ না করে বালু খেকোদের কাছ থেকে জেলা প্রশাসনের নাম করে বাগবাটােয়ারা নিচ্ছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম, হাজী হাছন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ (গুচ্ছগ্রাম) বিভিন্ন স্থাপনাসহ ফসলি জমি। আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বুড়িডহর হাজী হাছন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লামণিগাঁও পর্যন্ত পিয়াইন নদীর দুই পাড়ে অর্ধ-শতাধিক শ্যালো মেশিন ও বোমা মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন।
জানা গেছে, ইজারা না থাকলেও পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করেছে। বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বললেই নির্যাতনের শিকার হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, বালু উত্তোলন করার বিষয়ে কথা বললেই শুরু হয় নির্যাতন। হত্যার হুমকি ও দেওয়া হয়েছে কয়েকজন কে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অনেক নৌকা ও শ্যালু মেশিন নষ্ট করা হয়েছে। তাও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তলন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার কে বার বার ফোন দেওয়ার পরও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।