, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম, মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা 

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে; যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় জেল খেটেছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলায় হেতিমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা।

আহত মেহেদী হোসাইন আরিফ (৩৯) উপজেলার মোশাহিদহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরিফ এলাকায় যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয়রা জানান, জুলাই ও অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন আরিফ। প্রায় দেড় মাস আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

মেহেদীর স্বজনরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হেতিমগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরিফ। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে অন্তত সাতজন লোক এতে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

হামলাকারীদের সহযোগিতায় দুটি অটোরিকশায় আসা আরও কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন। এক পর্যায়ে আরিফকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফের এক স্বজন বলেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। আরিফের হাত ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কয়েক দিন আগে মেহেদীর কাছে কয়েকজন মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা দাবির ঘটনাসহ গ্রামের পূর্ববিরোধে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হামলার ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় জানিয়ে ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। বর্তমানে আরিফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।

তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার ও জেল খাটার বিষয়ে ওসি মনিরুজ্জামান কিছু জানেন না বলে জানান।

জনপ্রিয়

সিলেটে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম, মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা 

প্রকাশের সময় : ০১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে; যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় জেল খেটেছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলায় হেতিমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা।

আহত মেহেদী হোসাইন আরিফ (৩৯) উপজেলার মোশাহিদহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরিফ এলাকায় যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয়রা জানান, জুলাই ও অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন আরিফ। প্রায় দেড় মাস আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

মেহেদীর স্বজনরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হেতিমগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরিফ। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে অন্তত সাতজন লোক এতে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

হামলাকারীদের সহযোগিতায় দুটি অটোরিকশায় আসা আরও কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন। এক পর্যায়ে আরিফকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফের এক স্বজন বলেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। আরিফের হাত ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কয়েক দিন আগে মেহেদীর কাছে কয়েকজন মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা দাবির ঘটনাসহ গ্রামের পূর্ববিরোধে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হামলার ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় জানিয়ে ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। বর্তমানে আরিফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।

তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার ও জেল খাটার বিষয়ে ওসি মনিরুজ্জামান কিছু জানেন না বলে জানান।