, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবদল নেতাকে হত্যা জকিগঞ্জে নদী ভাঙনের আশু সমাধানের দাবিতে উপজেলা প্রশাসক এর সাথে সাক্ষাৎ এবং স্মারকলিপি প্রদান যুবকদের মনুষ্যত্ববোধকে লালন করে মানবতার সেবা করে যেতে হবে : মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম সিলেটের দুই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : আক্রান্ত দুইজন ‘সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না’ সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েল ফেয়ার ফান্ড’ গঠনের উদ্যোগ গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেট সীমান্তে উত্তেজনা, স্থানীয়দের বাধায় পিছু হটলো বিএসএফ

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বিএসএফ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে নলজুরি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সার্ভে দল ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কাজ শুরু করে। সার্ভে কাজে সহযোগিতা করছিলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। তবে সার্ভে চলাকালে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা আমরা জানি না। এই সমীক্ষার বিষয়ে আমাদের কেউ জানাননি।

সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সীমান্তের আমস্বপ্ন এলাকার এই খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দখলে ছিল। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতায় মাঠটি ভারতের অংশ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হলেও এতদিন এটি অপদখলীয় ভূমি হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছেন।’

তিনি আরও বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলাকালীন এই মাঠটি যে ভারতের অংশ তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেননি। তারা ধরে নিয়েছেন যে মাঠটি ভারত নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জনপ্রিয়

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

সিলেট সীমান্তে উত্তেজনা, স্থানীয়দের বাধায় পিছু হটলো বিএসএফ

প্রকাশের সময় : ০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বিএসএফ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে নলজুরি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সার্ভে দল ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কাজ শুরু করে। সার্ভে কাজে সহযোগিতা করছিলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। তবে সার্ভে চলাকালে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা আমরা জানি না। এই সমীক্ষার বিষয়ে আমাদের কেউ জানাননি।

সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সীমান্তের আমস্বপ্ন এলাকার এই খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দখলে ছিল। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতায় মাঠটি ভারতের অংশ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হলেও এতদিন এটি অপদখলীয় ভূমি হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছেন।’

তিনি আরও বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলাকালীন এই মাঠটি যে ভারতের অংশ তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেননি। তারা ধরে নিয়েছেন যে মাঠটি ভারত নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।