, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে এআই এর ব্যবহার ও সুরক্ষা শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার সিলেটের ব্যবসায়ীরা সিলেটে টিলা কাটার অভিযোগে ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘শাহজালাল মাজারে শিরিক-বিদাআত ও অশ্লীলতা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে’ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটের রাজপথে এনসিপি ‘আমরা চাই তাড়াতাড়ি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক’ সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে হামলা : সাবেক এমপি হাবিব, কাউন্সিলরসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসা যুবক সিলেটে গ্রেপ্তার সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে যাত্রীবেশে কুপিয়ে সিএনজি ছিনতাই, অবশেষে সেই চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিতো তারা। পরে সুযোগ বুঝে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতো। অবশেষে এই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপশহর এলাকার বাসিন্দা এবং কানাইঘাট তালবাড়ী খারপাড় এলাকার বাবুল আহমেদের ছেলে মোঃ সাইফুল (২৮), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ নাঈম (২৪), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার মুসলিমবাগ গ্রামের সামান আলীর ছেলে মোঃ শওকত (২৮), শাহপরাণ থানার বালুচর এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ওরফে মাইল্লা(৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের সালেক উদ্দিনের ছেলে সাদিউর রহমান সোহেল (২৮), একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ মিয়া (২২), হবিগঞ্জের লাখাইয়ের হরিনাকোনা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোবাশ্বির আহমদ (২৪) এবং বুল্লা গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে এখলাছ (২৫)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অটোরিকশার মালিক এয়ারপোর্ট থানার মেঘালয় চা বাগান এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে তজন মিয়া।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর মেজরটিলা বাজার এলাকা হতে যাত্রীবেশে ৫ জন তজন মিয়ার সিএনজি অটোরিকশা (রেজিঃ নম্বর-সিলেট-থ-১২-৯৩২০) ভাড়া করে দলদলি চা-বাগান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে অটোরিকশা, একটি বাটন ফোন, নগদ ২ হাজার টাকা, রুপার চেইন, গাড়ির মূল কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন তজন মিয়া।

মামলার পর চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে ঘটনার পর আসামীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একের পর এক আসামীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গত ২০ মার্চ প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুলকে। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দীর্ঘ একমাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররকৃতরা সক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সিলেটে যাত্রীবেশে কুপিয়ে সিএনজি ছিনতাই, অবশেষে সেই চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিতো তারা। পরে সুযোগ বুঝে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতো। অবশেষে এই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপশহর এলাকার বাসিন্দা এবং কানাইঘাট তালবাড়ী খারপাড় এলাকার বাবুল আহমেদের ছেলে মোঃ সাইফুল (২৮), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ নাঈম (২৪), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার মুসলিমবাগ গ্রামের সামান আলীর ছেলে মোঃ শওকত (২৮), শাহপরাণ থানার বালুচর এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ওরফে মাইল্লা(৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের সালেক উদ্দিনের ছেলে সাদিউর রহমান সোহেল (২৮), একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ মিয়া (২২), হবিগঞ্জের লাখাইয়ের হরিনাকোনা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোবাশ্বির আহমদ (২৪) এবং বুল্লা গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে এখলাছ (২৫)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অটোরিকশার মালিক এয়ারপোর্ট থানার মেঘালয় চা বাগান এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে তজন মিয়া।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর মেজরটিলা বাজার এলাকা হতে যাত্রীবেশে ৫ জন তজন মিয়ার সিএনজি অটোরিকশা (রেজিঃ নম্বর-সিলেট-থ-১২-৯৩২০) ভাড়া করে দলদলি চা-বাগান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে অটোরিকশা, একটি বাটন ফোন, নগদ ২ হাজার টাকা, রুপার চেইন, গাড়ির মূল কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন তজন মিয়া।

মামলার পর চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে ঘটনার পর আসামীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একের পর এক আসামীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গত ২০ মার্চ প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুলকে। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দীর্ঘ একমাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররকৃতরা সক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।