, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

হাদী হত্যার আগুনে সিলেট উত্তাল, ছাত্রলীগকে প্রতিহতের ডাক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিলেটে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়, যা শুক্রবার জুমার নামাজের পর আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চ, এনসিপি, ইসলামী ছাত্রশিবির, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগের দাবিও করেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ভারতের ‘প্রেসক্রিপশনে’ এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং এতে আওয়ামী লীগ জড়িত। তারা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন। বিশেষ করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ডাক দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও নগরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জনপ্রিয়

হাদী হত্যার আগুনে সিলেট উত্তাল, ছাত্রলীগকে প্রতিহতের ডাক

হাদী হত্যার আগুনে সিলেট উত্তাল, ছাত্রলীগকে প্রতিহতের ডাক

প্রকাশের সময় : ১২ ঘন্টা আগে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিলেটে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়, যা শুক্রবার জুমার নামাজের পর আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চ, এনসিপি, ইসলামী ছাত্রশিবির, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগের দাবিও করেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ভারতের ‘প্রেসক্রিপশনে’ এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং এতে আওয়ামী লীগ জড়িত। তারা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন। বিশেষ করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ডাক দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও নগরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।