, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

সিলেট সীমান্তে ‘খাসিয়াদের’ গুলিতে দুই তরুণ নিহত

সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভারতের অভ্যন্তরে গুলিতে আশিকুর রহমান (১৯) ও মোশাঈদ (২২) নামে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজনের লাশ বাংলাদেশে উদ্ধার করা হলেও অপরজনের মরদেহ এখনো ভারতীয় সীমান্তে রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের দমদমা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশিকুর রহমান দমদমা সীমান্তের পূর্ব তুরুং গ্রামের বুরান উদ্দীনের ছেলে এবং মোশাঈদ একই গ্রামের মৃত রব মিয়ার ছেলে।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, দমদমা সীমান্তের ১২৬০ মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব পিলার থেকে প্রায় ৬০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পরিহাট এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে আশিকুর গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তার মরদেহ বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

একই সময় ভারতের দমদমা সীমান্তসংলগ্ন রাদনে এলাকায় মোশাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। স্থানীয়ভাবে দাবি করা হলেও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, তাকে খাসিয়া নাকি বিএসএফ গুলি করেছে। নিহত মোশাঈদের মরদেহ ভারতের টোকা ক্যাম্পে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিএসএফ ক্যাম্প থেকে মোবাইল ফোনে বিজিবিকে জানানো হয়, ‘তোমাদের এক লোক মারা গেছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তের ওপারে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তবে তারা খাসিয়াদের নাকি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, নিহত আশিকুরের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে। অপর নিহত মোশাঈদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।

জনপ্রিয়

হাদী হত্যার আগুনে সিলেট উত্তাল, ছাত্রলীগকে প্রতিহতের ডাক

সিলেট সীমান্তে ‘খাসিয়াদের’ গুলিতে দুই তরুণ নিহত

প্রকাশের সময় : ১৬ ঘন্টা আগে

সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভারতের অভ্যন্তরে গুলিতে আশিকুর রহমান (১৯) ও মোশাঈদ (২২) নামে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজনের লাশ বাংলাদেশে উদ্ধার করা হলেও অপরজনের মরদেহ এখনো ভারতীয় সীমান্তে রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের দমদমা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশিকুর রহমান দমদমা সীমান্তের পূর্ব তুরুং গ্রামের বুরান উদ্দীনের ছেলে এবং মোশাঈদ একই গ্রামের মৃত রব মিয়ার ছেলে।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, দমদমা সীমান্তের ১২৬০ মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব পিলার থেকে প্রায় ৬০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পরিহাট এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে আশিকুর গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তার মরদেহ বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

একই সময় ভারতের দমদমা সীমান্তসংলগ্ন রাদনে এলাকায় মোশাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। স্থানীয়ভাবে দাবি করা হলেও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, তাকে খাসিয়া নাকি বিএসএফ গুলি করেছে। নিহত মোশাঈদের মরদেহ ভারতের টোকা ক্যাম্পে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিএসএফ ক্যাম্প থেকে মোবাইল ফোনে বিজিবিকে জানানো হয়, ‘তোমাদের এক লোক মারা গেছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তের ওপারে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তবে তারা খাসিয়াদের নাকি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, নিহত আশিকুরের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে। অপর নিহত মোশাঈদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।