, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে দুই বন্ধুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা মৌলভীবাজারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত সিলেটে ৩ দিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা শুরু সিলেট শাহজালাল মাজার থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ২ সিলেটের গোলাপগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত অপহরণ করে বিবস্ত্র নির্যাতন ও ভিডিও দেখিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ, সিলেটে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২ আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা গ্রেফতার দিরাইয়ে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩ দিরাইয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে ব্র্যাকের সমন্বয় সভা

ভাসানীকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার দাবিতে সিলেটে স্মারকলিপি

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং তাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদ, সিলেটের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার রেজা-উন-নবী খানের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা। এ সময় জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বকুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, মওলানা ভাসানী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এই মহান নেতার অবদান আজ অবধি অবহেলিত। আগামী ১২ ডিসেম্বর তাঁর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী এবং ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবার্ষিকী যেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয়, সেই দাবি জানানো হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জেনারেল ওসমানী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশমাতৃকার প্রয়োজনে ৯ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘পাপা টাইগার’ খ্যাত এই বীর সমরবিদের অবদান অনস্বীকার্য।

সংগঠনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানায়।

স্মারকলিপিতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়:
১. মওলানা ভাসানী ও জেনারেল ওসমানীর ছবি সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাঙানো।
২. মওলানা ভাসানীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা করা।
৩. ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ঢাকায় জুলাই-আগস্ট শহীদ স্মৃতি সংসদে সকল শহীদের নামসহ তালিকা সংরক্ষণ করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে বক্তারা বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে যারা হাল ধরেছিলেন, তাদের যথাযথ সম্মান না দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে দুই বন্ধুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

ভাসানীকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার দাবিতে সিলেটে স্মারকলিপি

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং তাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদ, সিলেটের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার রেজা-উন-নবী খানের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা। এ সময় জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বকুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, মওলানা ভাসানী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এই মহান নেতার অবদান আজ অবধি অবহেলিত। আগামী ১২ ডিসেম্বর তাঁর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী এবং ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবার্ষিকী যেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয়, সেই দাবি জানানো হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জেনারেল ওসমানী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশমাতৃকার প্রয়োজনে ৯ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘পাপা টাইগার’ খ্যাত এই বীর সমরবিদের অবদান অনস্বীকার্য।

সংগঠনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানায়।

স্মারকলিপিতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়:
১. মওলানা ভাসানী ও জেনারেল ওসমানীর ছবি সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাঙানো।
২. মওলানা ভাসানীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা করা।
৩. ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ঢাকায় জুলাই-আগস্ট শহীদ স্মৃতি সংসদে সকল শহীদের নামসহ তালিকা সংরক্ষণ করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে বক্তারা বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে যারা হাল ধরেছিলেন, তাদের যথাযথ সম্মান না দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।