মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং তাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদ, সিলেটের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার রেজা-উন-নবী খানের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা। এ সময় জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বকুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মওলানা ভাসানী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এই মহান নেতার অবদান আজ অবধি অবহেলিত। আগামী ১২ ডিসেম্বর তাঁর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী এবং ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবার্ষিকী যেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয়, সেই দাবি জানানো হয়।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জেনারেল ওসমানী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশমাতৃকার প্রয়োজনে ৯ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘পাপা টাইগার’ খ্যাত এই বীর সমরবিদের অবদান অনস্বীকার্য।
সংগঠনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানায়।
স্মারকলিপিতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়:
১. মওলানা ভাসানী ও জেনারেল ওসমানীর ছবি সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাঙানো।
২. মওলানা ভাসানীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা করা।
৩. ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ঢাকায় জুলাই-আগস্ট শহীদ স্মৃতি সংসদে সকল শহীদের নামসহ তালিকা সংরক্ষণ করা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে বক্তারা বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে যারা হাল ধরেছিলেন, তাদের যথাযথ সম্মান না দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

প্রতিদিনের সিলেট ডেস্ক 



















