সিলেট শহরে আবারও শুরু হয়েছে সেই পুরানো খেলা এক ধরনের লুকোচুরি অভিযান। সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসন ফুটপাত ও রাস্তাঘাট হকার মুক্ত রাখার জন্য কঠোর অভিযান চালালেও, হকাররা প্রতিনিয়ত নিজস্ব কৌশল প্রয়োগ করে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ফের রাস্তায় ফিরে আসছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর শেষ মেয়াদে এই খেলার স্মৃতি এখনও প্রাণবন্ত। প্রশাসন যখন অভিযান চালাতো, তখনও হকাররা নগরীর বিভিন্ন সড়ক এবং ফুটপাত দখল করত। বিশেষভাবে, লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেট তাদের প্রধান কেন্দ্র ছিল।
বর্তমানেও পরিস্থিতি প্রায় একই রকম। প্রশাসন প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বন্দরবাজার থেকে জিন্দাবাজার হয়ে আম্বরখানা, রিকাবী বাজার থেকে লামাবাজার এবং মেডিকেল রোড পর্যন্ত। তবে হকারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই সুসংগঠিত যে, অভিযান শুরু হওয়ার খবর পেলে তারা মুহূর্তের মধ্যে সরে যায় এবং অভিযান শেষ হওয়ার পর পুনরায় দখল গ্রহণ করে।
জিন্দাবাজার এলাকার হকার্স নেতা মিজানকে বুধবার নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় নিজ বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেখা গেছে। মিজান সিলেটভিউর মাল্টি মিডিয়ার কাছে জানান, তিনি তার দোকানগুলোকে নিরাপদ করেছেন। জানা গেছে, তার অন্তত ৩–৪টি দোকান রয়েছে, যা লোক রেখে পরিচালনা করছেন।
জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী আনিস (৩২) বলেন, এরা পুরানো খেলা চালাচ্ছে। প্রতিদিনই এমন অবস্থা। প্রশাসন রাস্তায় অভিযান চালালেও, তারা আবার ফিরে আসে। আমাদের ব্যবসার জন্য এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করছেন, একটি গ্রুপকে লালদিঘীরপারে পাঠিয়ে অন্য দলকে রাস্তায় ব্যবসার সুযোগ দেওয়া “অবিচার” সৃষ্টি করছে। তাদের দাবী, প্রয়োজনে প্রশাসনকে প্রতিদিন কঠোর অভিযান চালিয়ে রাস্তাঘাট হকার মুক্ত রাখতে হবে।
সিলেট শহরের রাস্তাঘাট ও ফুটপাতকে হকার মুক্ত রাখতে প্রশাসনের এই লড়াই এখনো চলমান। ফুটপাত দখলের এই লুকোচুরি খেলা কবে থামবে, তা এখনও অনিশ্চিত।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















