, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করলো এনসিপি ইসরায়েলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সহায়তার প্রস্তাব দিলো ফিলিস্তিন ওসমানীনগরে এক রাতের ব্যবধানে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি হবিগঞ্জের মিরপুরের সানশাইন স্কুলে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জাফলংয়ে বালু-পাথর উত্তোলনের জন্য রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়-টিলা ঢাকা থেকে আগত জাতীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময় দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কর্মে অবদান : সম্মানজনক ‘আইজি ব্যাজ’ পেলেন এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু সিলেট বিভাগের প্রথম ডিআইজি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে কোকাকোলা বিক্রি করায় কেএফসি ভাঙচুর, বাটায় হামলা

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোমল পানীয় কোকাকোলা বিক্রির অভিযোগ এনে সিলেট নগরীতে ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

পাশাপাশি থাকা আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটাতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৩টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলার কেএফসি এবং দরগা গেইট এলাকার বাটার শো-রুমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে একটি মিছিল কেএফসির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সেখানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। তারা কেএফসির ভেতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে। তারা লাঠি দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে। ভাঙচুরের পর কেএফসি বন্ধ রয়েছে।

একই মিছিলের একটি অংশের লোকজন পাশের সড়কের বাটার শো-রুমে গিয়ে হামলা চালায় এবং সেখানকার গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় দোকানের কর্মচারীরা ভয়ে বের হয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ভাঙচুরের সময় বিক্ষুদ্ধরা অভিযোগ করেন, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী ইসরায়েলি কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এই দেশে। এই কেএফসিতে ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি মেনে নেওয়া হবে না।

তারা বলেন, চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়; সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদান করেন।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখরিত হয়ে উঠে। বিশ্বব্যাপী ডাকা এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলছে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি।

বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিনি ফিলিস্তিনি’; ‘ইসরায়েলের বন্ধুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’- স্লোগান দেন।

বেলা ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভ চলাকালে নগরীর পাক ভিউ মেডিকেল কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত। ইসরায়েল একটি অভিশপ্ত দেশ; যারা নিরীহ মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।

বাদ জোহর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এ ছাড়া ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে।

জনপ্রিয়

সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করলো এনসিপি

সিলেটে কোকাকোলা বিক্রি করায় কেএফসি ভাঙচুর, বাটায় হামলা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোমল পানীয় কোকাকোলা বিক্রির অভিযোগ এনে সিলেট নগরীতে ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

পাশাপাশি থাকা আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটাতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৩টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলার কেএফসি এবং দরগা গেইট এলাকার বাটার শো-রুমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে একটি মিছিল কেএফসির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সেখানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। তারা কেএফসির ভেতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে। তারা লাঠি দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে। ভাঙচুরের পর কেএফসি বন্ধ রয়েছে।

একই মিছিলের একটি অংশের লোকজন পাশের সড়কের বাটার শো-রুমে গিয়ে হামলা চালায় এবং সেখানকার গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় দোকানের কর্মচারীরা ভয়ে বের হয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ভাঙচুরের সময় বিক্ষুদ্ধরা অভিযোগ করেন, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী ইসরায়েলি কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এই দেশে। এই কেএফসিতে ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি মেনে নেওয়া হবে না।

তারা বলেন, চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়; সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদান করেন।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখরিত হয়ে উঠে। বিশ্বব্যাপী ডাকা এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলছে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি।

বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিনি ফিলিস্তিনি’; ‘ইসরায়েলের বন্ধুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’- স্লোগান দেন।

বেলা ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভ চলাকালে নগরীর পাক ভিউ মেডিকেল কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত। ইসরায়েল একটি অভিশপ্ত দেশ; যারা নিরীহ মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।

বাদ জোহর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এ ছাড়া ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে।