আর্থিক সংকটের কারণে সিলেটের চা বাগানগুলোতে কয়েক মাস ধরে বেতন ও রেশন না পেয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছিলেন শ্রমিকরা। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার ৪টি চা বাগানের ১৪০০ শ্রমিকের মধ্যে নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বুরজান, কালাগুল, ছেড়াগাং ও ফ্যাক্টরি চা বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘ ১৫ থেকে ১৭ সপ্তাহ ধরে বেতন ও রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চা শ্রমিকদের মাঝে নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও ১৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেন।
শুক্রবার বিকেলে এসব সহায়তা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজ খোশনূর রুবাইয়াৎ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম, মহানগরের এসিল্যান্ড মো. আলীম উল্লাহ খান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মেরিনা দেবনাথ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ, খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ত্রাণসহায়তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত চা শ্রমিকরা জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ডিসি স্যার চাউল ও টেকা দিয়েছে। আমরা বাগানের সবাই খুব খুশি হয়েছি।
ইউএনও মিজ খোশনূর রুবাইয়াৎ জানান, এ সহায়তা জনপ্রতি শ্রমিককে ৫০০ টাকা ও ১০ কেজি করে চাল হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,চা-শ্রমিকদের ও চা শিল্পের বিদ্যমান সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসক অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এর পূর্বে লাক্কাতুরা, দলদলি, ও কেওয়াছড়া চা বাগানে মজুরি ও রেশন বন্ধ থাকাকালীন সময়ে জেলা প্রশাসক এই তিনটি বাগানের ১২০০ শ্রমিকের প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে সর্বমোট ৩৬ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি খাত থেকে প্রদান করেন।