, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে বুকের উপর পায়ের চাপ দিয়ে শিশুকে পেটালেন করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে মামুনুল হকসহ সাত আলেম সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের এমডি আব্দুল্লাহ শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট এর ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উপর হামলার ঘটনায় মামলা লালাবাজারে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ স্বামী-স্ত্রী আটক জগন্নাথপুরে সিংহ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাটি গুজব

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।

জনপ্রিয়

সিলেটে বুকের উপর পায়ের চাপ দিয়ে শিশুকে পেটালেন করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।