, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার সিলেটে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা ১৭ বছর বয়সে বিমানের পাইলট সিলেটের আহনাফ
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

যুক্তরাজ্য থেকে এসেও মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না জগন্নাথপুরের প্রবাসী নুর আলীর

ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় হারালেন জগন্নাথপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুর আলী (৪২)।

 

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 

ওই প্রবাসী জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর আশিঘর এলাকার মৃত হাজী তৈয়ব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় গ্রামের মাদসারা মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

জানা যায়, মা সহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেন প্রবাসী নুর আলী। গেল চার মার্চ ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান তিনি। ওই দিন রাজধানীতে সড়ক পারাপারের সময় একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নুর আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান তিনি। বুধবার রাতে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

 

প্রবাসী নুর আলীর চাচাতো ভাই বিলাল হোসেন, তিনি প্রবাসী হলেও দেশে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। মা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য দেশে এসেছিলেন। একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাসের ধাক্কায় আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

তিনি জানান, মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও এক বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল জানাজা শেষে পাবাবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে তাঁকে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহীম শাহীন বলেন, খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন নুর আলী। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মত্যুতে এলাকায় শোকের ছাড়া বিরাজ করছে।

জনপ্রিয়

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

যুক্তরাজ্য থেকে এসেও মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না জগন্নাথপুরের প্রবাসী নুর আলীর

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় হারালেন জগন্নাথপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুর আলী (৪২)।

 

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 

ওই প্রবাসী জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর আশিঘর এলাকার মৃত হাজী তৈয়ব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় গ্রামের মাদসারা মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

জানা যায়, মা সহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেন প্রবাসী নুর আলী। গেল চার মার্চ ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান তিনি। ওই দিন রাজধানীতে সড়ক পারাপারের সময় একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নুর আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান তিনি। বুধবার রাতে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

 

প্রবাসী নুর আলীর চাচাতো ভাই বিলাল হোসেন, তিনি প্রবাসী হলেও দেশে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। মা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য দেশে এসেছিলেন। একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাসের ধাক্কায় আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

তিনি জানান, মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও এক বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল জানাজা শেষে পাবাবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে তাঁকে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহীম শাহীন বলেন, খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন নুর আলী। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মত্যুতে এলাকায় শোকের ছাড়া বিরাজ করছে।