, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসা যুবক সিলেটে গ্রেপ্তার সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শ্রীঘরে সিলেট জেলা যুবদল নেতা কাশেম হাইটেক পার্ক, সিলেট-এ বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের নিমিত্তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বড় ভাইয়ের হাত থেকে ভূ-সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সিলেটে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ফেসবুক পোস্টে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল

আদালতে আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সভাপতি নাজমুল ইসলাম। বুধবার রাত ১টার দিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাঁর পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই ইঙ্গিত দেন তিনি। তার এই পোস্টের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন।

পোস্টে নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‌একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য কারাগার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমাদের যাদের ভবিষ্যতে দেশে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মসমর্পণ করার প্রস্ততি নিতে হবে। আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে আমি, আমরা নির্দোষ নাকি অপরাধী? খুব শিগগিরই আমি এই কাজটি করব। কাপুরুষের মতো পালিয়ে থেকে বাঁচার চেয়ে কারাগারে বীরের মতো মৃত্যুবরণ করাটাই আমার কাছে সম্মানের।

এদিকে তার এই পোস্টের পরপরই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ বলছেন- এখন আত্মসমর্পণ করার সময় হয়নি। আত্মসমর্পণ করলে বিপদ অনিবার্য।

হুমায়ুন এ জনি নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আর ভাল্লাগে না ভাই। রাজনীতির পাঠশালা কারাগারে থেকে নতুন করে শুরু করি।’

এম সরওয়ার জাহান মামুন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে।

স্বপন আহমদ নামে একজন লেখেন, হ্যাঁ! এটাই একজন রাজনীতিবিদের সঠিক সিদ্ধান্ত।

এস এ সাদিক নামেব একজন লেখেন, ‘ভাই জীবনেও ধরা দিও না। ভালা বুদ্ধি দেয়ার অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের চিন্তা কর। আপাতত জীবিত থাকলে পরে রাজনীতি।

দিলসাদ আহমদ নামে একজন লেখেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার চিন্তা চেতনা এই রকমই থাকা প্রয়োজন।

ফুয়াদ আল আমিন নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘এই সাহস যদি করেন ভাই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আলাদা একটি শক্তি সঞ্চালন করবে। আপনার সভাপতি হওয়াটা যেমন অবাক ইতিহাস, এমন আরেক ইতিহাস হয়ে থাকবেন।’

কামরান আহমদ নামে একজন মন্তব্য করেন, সাধারণ কর্মীরা কি চায় আপনাদের কাছে এটা আপনাদের জানতে হবে। কর্মীরা আপনাদের কাছে টাকা পয়সা কিছুই চায় না, ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও চায়নি। এখনও সময় আছে আপনার কর্মীদের খোঁজখবর নেন। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এরা রাজপথে থাকলেই আপনারা ফিরতে পারবেন। আওয়ামী লীগ খুব শিগগির রাজপথে ব্যাক করবে। আপনার আপনাদের মুখ তখন কীভাবে দেখাবেন একটু চিন্তা করুন.?’

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর নাজমুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অনেক নেতা ভারতে চলে যান। বর্তমানে নাজমুল সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসা যুবক সিলেটে গ্রেপ্তার

ফেসবুক পোস্টে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল

প্রকাশের সময় : ০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

আদালতে আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সভাপতি নাজমুল ইসলাম। বুধবার রাত ১টার দিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাঁর পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই ইঙ্গিত দেন তিনি। তার এই পোস্টের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন।

পোস্টে নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‌একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য কারাগার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমাদের যাদের ভবিষ্যতে দেশে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মসমর্পণ করার প্রস্ততি নিতে হবে। আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে আমি, আমরা নির্দোষ নাকি অপরাধী? খুব শিগগিরই আমি এই কাজটি করব। কাপুরুষের মতো পালিয়ে থেকে বাঁচার চেয়ে কারাগারে বীরের মতো মৃত্যুবরণ করাটাই আমার কাছে সম্মানের।

এদিকে তার এই পোস্টের পরপরই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ বলছেন- এখন আত্মসমর্পণ করার সময় হয়নি। আত্মসমর্পণ করলে বিপদ অনিবার্য।

হুমায়ুন এ জনি নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আর ভাল্লাগে না ভাই। রাজনীতির পাঠশালা কারাগারে থেকে নতুন করে শুরু করি।’

এম সরওয়ার জাহান মামুন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে।

স্বপন আহমদ নামে একজন লেখেন, হ্যাঁ! এটাই একজন রাজনীতিবিদের সঠিক সিদ্ধান্ত।

এস এ সাদিক নামেব একজন লেখেন, ‘ভাই জীবনেও ধরা দিও না। ভালা বুদ্ধি দেয়ার অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের চিন্তা কর। আপাতত জীবিত থাকলে পরে রাজনীতি।

দিলসাদ আহমদ নামে একজন লেখেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার চিন্তা চেতনা এই রকমই থাকা প্রয়োজন।

ফুয়াদ আল আমিন নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘এই সাহস যদি করেন ভাই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আলাদা একটি শক্তি সঞ্চালন করবে। আপনার সভাপতি হওয়াটা যেমন অবাক ইতিহাস, এমন আরেক ইতিহাস হয়ে থাকবেন।’

কামরান আহমদ নামে একজন মন্তব্য করেন, সাধারণ কর্মীরা কি চায় আপনাদের কাছে এটা আপনাদের জানতে হবে। কর্মীরা আপনাদের কাছে টাকা পয়সা কিছুই চায় না, ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও চায়নি। এখনও সময় আছে আপনার কর্মীদের খোঁজখবর নেন। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এরা রাজপথে থাকলেই আপনারা ফিরতে পারবেন। আওয়ামী লীগ খুব শিগগির রাজপথে ব্যাক করবে। আপনার আপনাদের মুখ তখন কীভাবে দেখাবেন একটু চিন্তা করুন.?’

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর নাজমুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অনেক নেতা ভারতে চলে যান। বর্তমানে নাজমুল সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।