, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে মামুনুল হকসহ সাত আলেম সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের এমডি আব্দুল্লাহ শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট এর ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উপর হামলার ঘটনায় মামলা লালাবাজারে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ স্বামী-স্ত্রী আটক জগন্নাথপুরে সিংহ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাটি গুজব সিলেটে সুপারির দামে অস্থিরতা : কেজিপ্রতিতে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা সিলেটে যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ : পুলিশ কমিশনার

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় : অ্যাটর্নি জেনারেল

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে নিরস্ত্র অবস্থায় চারটি গুলি করার পর গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও তাঁদের করা আপিলের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সব সাক্ষী বলেছেন, মেজর সিনহা গাড়ি থেকে নেমে নিরস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তাঁকে দুটি গুলি করা হয়। পরে আরও ‍দুটি। এরপর গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

মেজর সিনহাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, মেজর সিনহার মৃত্যু গোটা দেশকে এমনভাবে নাড়া দিয়েছে যে থাই পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে আছে।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আগামী ২ জুন রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

রায়ের পর নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো, অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

জনপ্রিয়

আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশের সময় : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে নিরস্ত্র অবস্থায় চারটি গুলি করার পর গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও তাঁদের করা আপিলের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সব সাক্ষী বলেছেন, মেজর সিনহা গাড়ি থেকে নেমে নিরস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তাঁকে দুটি গুলি করা হয়। পরে আরও ‍দুটি। এরপর গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

মেজর সিনহাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, মেজর সিনহার মৃত্যু গোটা দেশকে এমনভাবে নাড়া দিয়েছে যে থাই পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে আছে।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আগামী ২ জুন রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

রায়ের পর নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো, অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।