সিলেটে গ্রাফিতিতে অনেকেই থামলেও এখনো বন্ধ হয়নি কবির আশরাফের রং আর তুলির খেলা। দৃষ্টি নন্দন ছবি একে মাত করে চলেছেন নগর- বন্দর -গ্রাম। জুলাই অভ্যূত্থান যেন তার হাতে নতুন শক্তি যুগিয়েছে। অসুন্দর আর অন্ধকারকে পেছনে ফেলে এখন নতুন আলোর স্বপ্নে বিভোর ২০ বছর ধরে কাজ করা এই আকিয়ে। তার সে স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সকল মহলের সহযোগিতা।
কল্পনার নান্দনিক রুপকার নামে খ্যাত চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নগরীর অসংখ্য দেয়ালে কল্পনার রং তুলি দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা চিত্র কর্ম ফুটিয়ে তুলছেন। তার আকা এসব চিত্র কর্ম গোটা সিলেটে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। মনের কথা তুলির মাধ্যমে জনসমক্ষে ফুটিয়ে তোলার এ মহান দায়িত্বই যেন আজ তাকে আজ এক নতুন উচ্চতায় আসীন করেছে।
কবির আশরাফ মুলত একজন ছড়াশিল্পী।বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতির সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।একজন নিবেদিত প্রান নান্দনিক রুপকার হিসেবে প্রতিদিনের কার্য তালিকায় চিত্র কর্মকেই প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন। দিন দিন তার এ কর্মযজ্ঞ যেন বেড়েই চলেছে।
ফলে সীমানার দেয়াল টপকিয়ে তার চিত্র কর্ম আজ অসীমের পথে ধাবমান।
কবির আশরাফের জন্ম সুনামগঞ্জে হলেও বেড়ে উঠা তার সিলেটে। শৈশবের গন্ডি পেরোনোর আগেই পরিবারের শিকল তার গায়ে পড়ে। ফলে তাকে বেচে নিতে এ লেখালেখির পেশা। প্রথমে নগরের বাগবাড়ীতে একটি দোকানে শুধু ব্যানার লিখনের কাজ শুরু করেন। তার হাতের যাদুতে ব্যানারের স্হলে আজ গোটা সিলেটের দেয়াল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ করায়ত্ত হয়েছে।
রাত বিরাতে একে যাচ্ছেন মনের মাধুরী মেশানো চিত্র কর্ম। যা সহজেই পথিককে বিমোহিত করে তুলে। তার চিত্র কর্মে পথিক খুজে পায় নতুনের ঠিকানা। অজানাকে জানার কৌতুহলি মানুষ সহজেই আয়ত্ত করে তার চিত্র কর্মকে।
আলাপকালে চিত্র শিল্পী কবির আশরাফ বলেন, আমি আকতে চাই, নতুন কিছু করতে চাই। এর মধ্যে দিয়েই নিজেকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। রং তুলিটাই যেন আমার আজ জীবন সঙ্গী। বাকিটা জীবনও এভাবে কাটাতে চাই। আগামী প্রজন্ম যেন আমার চিত্র কর্ম দেখে উৎসাহিত হয়, এই প্রচেষ্টা করেই যাচ্ছি।