, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘হাজারো শ্রমিক ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব রক্ষায় সিলেটে স্টোন ক্রাশার খুলে দিন’ সিলেটে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী সিলেটে এসএ পরিবহনের অফিসে তালা, স্টাফরা উধাও সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত সিলেটে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি ৪০ জন পেলেন সেলিম উদ্দিনের উপহার মৌলভীবাজারে রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল তরুণের নিথর দেহ সিলেটে শিশু নিপীড়ক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা, কারাগারে প্রেরণ বিয়ানীবাজারে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, এলাকায় তোলপাড়! সংস্কার না করেই নির্বাচন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকারের শামিল : সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ সিলেটে বুকের উপর পায়ের চাপ দিয়ে শিশুকে পেটালেন মাদ্রাসা শিক্ষক

ঈদযাত্রার বেশি ভোগাতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

ঈদে বাড়ি ফিরতে রাজধানীর কোটি মানুষ মোটা দাগে যে পাঁচটি সড়ক ব্যবহার করেন, তার মধ্যে ঢাকা-সিলেট ছাড়া বাকিগুলোয় যানজটের তেমন আশঙ্কা দেখছেন না যানবাহনের চালক, মালিক বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা-সিলেট নিয়ে ভয়ের কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সড়কটি এমনিতেই সরু। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গা খানাখন্দে ভরা; কোথাও কোথাও আবার চলছে ছয় লেনের কাজ। সড়কের পাশে বাজার ও কারখানার পাশাপাশি আছে অটোরিকশার উৎপাতও।

সড়ক নির্মাণের কাজ চলায় উত্তরাঞ্চলের পথে কিছুটা যানজট হতে পারে এলেঙ্গায়। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে একই ঝুঁকি আছে গাইবান্ধাতেও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় যানজটের ১২ ‘হটস্পট’ ছাড়া ভয়ের কিছু দেখছেন না চালক-যাত্রীরা। ময়মনসিংহের পথে ভোগান্তি হতে পারে ১৫ স্থানে। যদিও গাজীপুর অংশ নির্বিঘ্ন রাখতে তোড়জোড় চলছে। যানজট নিয়ে সবচেয়ে নির্ভার দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

এসব পথের যানজট কমাতে টোলপ্লাজাগুলোয় জনবল বাড়ানোসহ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় আশপাশের যেসব পয়েন্টে যানজট হয়, সেগুলোয় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মালিকপক্ষ।

ঢাকার টার্মিনালগুলোতেও ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের আগে-পরে সাতদিন ট্রাক ও কভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে স্বস্তির ঈদযাত্রা প্রত্যাশা করছেন তারা।

ঢাকা-সিলেট সড়ক নিয়ে বেশি ভয়

ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি করছেন ঢাকা-সিলেট সড়কের চালক-যাত্রীরা।

ঢাকা-হবিগঞ্জ পথের মিতালী পরিবহনের চালক ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, এমনিতে এটা ‘সিঙ্গেল’ (উভয়মুখী) রোড। ভৈরব সেতু থেকে খানাখন্দে ভরা সরু সড়কের কারণে যানজট লেগেই থাকে।

এর মধ্যে ঢাকা থেকে নরসিংদীর প্রায় পুরো সড়কেই নানা বাজার ও কারখানা। অটোরিকশার উৎপাতও আছে।

নরসিংদীর এসপি আব্দুল হান্নান বলেন, ছয় লেনের কাজ চলমান থাকায় এ মহাসড়কের চিত্র এবার অনেকটা ভিন্ন। রোজার শুরু থেকেই নিয়মিত জনবলের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা।

তিনি বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের জন্য মাইকিং করাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মহাসড়কে চলমান সংস্কার কাজের জন্য বিকল্প রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠিকাদারদের অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছয় লেনের কাজ চলায় কিছু এলাকায় দুর্ভোগের শঙ্কা রয়েছে মন্তব্য করে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (মিডিয়া) মো. শামসুল আলম বলেন, ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে কাজ চলছে। সেখানে সড়ক সরু হয়ে এসেছে, কিছু ভাঙাচোরাও আছে। সব মিলিয়ে এখানে দুর্ভোগের একটা আশঙ্কা রয়ে গেছে।

জনপ্রিয়

‘হাজারো শ্রমিক ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব রক্ষায় সিলেটে স্টোন ক্রাশার খুলে দিন’

ঈদযাত্রার বেশি ভোগাতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

প্রকাশের সময় : ০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

ঈদে বাড়ি ফিরতে রাজধানীর কোটি মানুষ মোটা দাগে যে পাঁচটি সড়ক ব্যবহার করেন, তার মধ্যে ঢাকা-সিলেট ছাড়া বাকিগুলোয় যানজটের তেমন আশঙ্কা দেখছেন না যানবাহনের চালক, মালিক বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা-সিলেট নিয়ে ভয়ের কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সড়কটি এমনিতেই সরু। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গা খানাখন্দে ভরা; কোথাও কোথাও আবার চলছে ছয় লেনের কাজ। সড়কের পাশে বাজার ও কারখানার পাশাপাশি আছে অটোরিকশার উৎপাতও।

সড়ক নির্মাণের কাজ চলায় উত্তরাঞ্চলের পথে কিছুটা যানজট হতে পারে এলেঙ্গায়। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে একই ঝুঁকি আছে গাইবান্ধাতেও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় যানজটের ১২ ‘হটস্পট’ ছাড়া ভয়ের কিছু দেখছেন না চালক-যাত্রীরা। ময়মনসিংহের পথে ভোগান্তি হতে পারে ১৫ স্থানে। যদিও গাজীপুর অংশ নির্বিঘ্ন রাখতে তোড়জোড় চলছে। যানজট নিয়ে সবচেয়ে নির্ভার দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

এসব পথের যানজট কমাতে টোলপ্লাজাগুলোয় জনবল বাড়ানোসহ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় আশপাশের যেসব পয়েন্টে যানজট হয়, সেগুলোয় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মালিকপক্ষ।

ঢাকার টার্মিনালগুলোতেও ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের আগে-পরে সাতদিন ট্রাক ও কভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে স্বস্তির ঈদযাত্রা প্রত্যাশা করছেন তারা।

ঢাকা-সিলেট সড়ক নিয়ে বেশি ভয়

ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি করছেন ঢাকা-সিলেট সড়কের চালক-যাত্রীরা।

ঢাকা-হবিগঞ্জ পথের মিতালী পরিবহনের চালক ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, এমনিতে এটা ‘সিঙ্গেল’ (উভয়মুখী) রোড। ভৈরব সেতু থেকে খানাখন্দে ভরা সরু সড়কের কারণে যানজট লেগেই থাকে।

এর মধ্যে ঢাকা থেকে নরসিংদীর প্রায় পুরো সড়কেই নানা বাজার ও কারখানা। অটোরিকশার উৎপাতও আছে।

নরসিংদীর এসপি আব্দুল হান্নান বলেন, ছয় লেনের কাজ চলমান থাকায় এ মহাসড়কের চিত্র এবার অনেকটা ভিন্ন। রোজার শুরু থেকেই নিয়মিত জনবলের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা।

তিনি বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের জন্য মাইকিং করাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মহাসড়কে চলমান সংস্কার কাজের জন্য বিকল্প রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠিকাদারদের অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছয় লেনের কাজ চলায় কিছু এলাকায় দুর্ভোগের শঙ্কা রয়েছে মন্তব্য করে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (মিডিয়া) মো. শামসুল আলম বলেন, ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে কাজ চলছে। সেখানে সড়ক সরু হয়ে এসেছে, কিছু ভাঙাচোরাও আছে। সব মিলিয়ে এখানে দুর্ভোগের একটা আশঙ্কা রয়ে গেছে।