, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবদল নেতাকে হত্যা জকিগঞ্জে নদী ভাঙনের আশু সমাধানের দাবিতে উপজেলা প্রশাসক এর সাথে সাক্ষাৎ এবং স্মারকলিপি প্রদান যুবকদের মনুষ্যত্ববোধকে লালন করে মানবতার সেবা করে যেতে হবে : মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম সিলেটের দুই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : আক্রান্ত দুইজন ‘সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না’ সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েল ফেয়ার ফান্ড’ গঠনের উদ্যোগ গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

পূণ্যভূমি সিলেটে গোপনে অভিশপ্ত কাদিয়ানী দিবস পালন, নিন্দা ও প্রতিবাদ

সিলেট শহরে অভিশপ্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায় তথাকথিত আহমদীয়া মুসলিম জামাত সিলেট নামের একটি ব্যানারে (গোপনে) কথিত মাসীহ মাওউদ দিবস উদযাপন করেছে। এই দিবস প্রতি বছর ২৩শে মার্চ আহমদীয়ারা পালন করে। এই দিনটি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, যাকে আহমদীরা প্রতিশ্রুত মসীহ বলে মনে করে (নাউজুবিল্লাহ) সে চল্লিশজন সদস্যের কাছ থেকে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছিল। শাহজালালের পূণ্যভূমি সিলেটে, মুসলিম নামে বিভ্রান্তকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের এ দুঃসাহসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর।

মঙ্গলবার (২৫ মাচ) মঙ্গলবার এক যৌথ প্রতিবাদ বিবৃতিতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আসআদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বদরুল ইসলাম বলেন, আলেম-উলামা অধ্যুষিত শহর সিলেট, দেশজুড়ে যেই শহরের খ্যাতি রয়েছে আধ্যাত্মিক নগরী হিসাবে। সেখানে মুসলিম নামে বিভ্রান্তকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের এ দুঃসাহস উদ্বেগ উৎকন্ঠার, এটা মেনে নেয়া যায় না। আমরা এহেন কর্মকান্ডের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তথাকথিত এই আহমদীয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় সর্বশেষ নবী ও রাসূল সায়্যিদিনা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অস্বীকার করার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়! বিশ্বের সকল আলেম-উলামা, ইসলামিক স্কলারসহ মুসলিম উম্মাহর কাছে কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের হিসেবে স্বীকৃত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শেষ নবী না মানলে কারো পক্ষেই মুসলিম থাকা বা মুসলিম পরিচয় দেওয়ার অধিকার থাকে না। এটা সরাসরি ইসলাম অবমাননার নামান্তর। সুতরাং এ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই পুণ্যভূমি সিলেটে অভিশপ্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার প্রতিবাদে শাহজালালের উত্তরসূরীদেরকে জেগে ওঠতে হবে এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবী উঠাতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারের পর কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তা সকল মুসলমানের কাছে সুস্পষ্ট। তবুও ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম নাম নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতে যুগের পর যুগ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে কাদিয়ানী সম্প্রদায়। দেশের সকল আলেম-উলামা বহুবার কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বিগত সরকারগুলো দেশের সকল মুসলমানের বিপক্ষে গিয়ে কাদিয়ানীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই এ অপকর্মে জড়িতদেরও নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগে লজ্জাবোধ করা উচিত।

তাই আমরা বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দাবী জানাই অবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সকল প্রকার অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। তারাও এদেশে বসবাস করবে। তবে অমুসলিম হিসেবে। কোন বিভ্রান্তকারী আহমদীয়া কিংবা অমুক তমুক নামে নয়। অন্যথায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই ক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।”

জনপ্রিয়

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

পূণ্যভূমি সিলেটে গোপনে অভিশপ্ত কাদিয়ানী দিবস পালন, নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

সিলেট শহরে অভিশপ্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায় তথাকথিত আহমদীয়া মুসলিম জামাত সিলেট নামের একটি ব্যানারে (গোপনে) কথিত মাসীহ মাওউদ দিবস উদযাপন করেছে। এই দিবস প্রতি বছর ২৩শে মার্চ আহমদীয়ারা পালন করে। এই দিনটি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, যাকে আহমদীরা প্রতিশ্রুত মসীহ বলে মনে করে (নাউজুবিল্লাহ) সে চল্লিশজন সদস্যের কাছ থেকে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছিল। শাহজালালের পূণ্যভূমি সিলেটে, মুসলিম নামে বিভ্রান্তকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের এ দুঃসাহসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর।

মঙ্গলবার (২৫ মাচ) মঙ্গলবার এক যৌথ প্রতিবাদ বিবৃতিতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আসআদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বদরুল ইসলাম বলেন, আলেম-উলামা অধ্যুষিত শহর সিলেট, দেশজুড়ে যেই শহরের খ্যাতি রয়েছে আধ্যাত্মিক নগরী হিসাবে। সেখানে মুসলিম নামে বিভ্রান্তকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের এ দুঃসাহস উদ্বেগ উৎকন্ঠার, এটা মেনে নেয়া যায় না। আমরা এহেন কর্মকান্ডের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তথাকথিত এই আহমদীয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় সর্বশেষ নবী ও রাসূল সায়্যিদিনা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অস্বীকার করার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়! বিশ্বের সকল আলেম-উলামা, ইসলামিক স্কলারসহ মুসলিম উম্মাহর কাছে কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের হিসেবে স্বীকৃত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শেষ নবী না মানলে কারো পক্ষেই মুসলিম থাকা বা মুসলিম পরিচয় দেওয়ার অধিকার থাকে না। এটা সরাসরি ইসলাম অবমাননার নামান্তর। সুতরাং এ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই পুণ্যভূমি সিলেটে অভিশপ্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার প্রতিবাদে শাহজালালের উত্তরসূরীদেরকে জেগে ওঠতে হবে এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবী উঠাতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারের পর কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তা সকল মুসলমানের কাছে সুস্পষ্ট। তবুও ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম নাম নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতে যুগের পর যুগ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে কাদিয়ানী সম্প্রদায়। দেশের সকল আলেম-উলামা বহুবার কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বিগত সরকারগুলো দেশের সকল মুসলমানের বিপক্ষে গিয়ে কাদিয়ানীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই এ অপকর্মে জড়িতদেরও নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগে লজ্জাবোধ করা উচিত।

তাই আমরা বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দাবী জানাই অবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সকল প্রকার অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। তারাও এদেশে বসবাস করবে। তবে অমুসলিম হিসেবে। কোন বিভ্রান্তকারী আহমদীয়া কিংবা অমুক তমুক নামে নয়। অন্যথায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই ক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।”