, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাদাপাথর লুট : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত মৌলভীবাজারে ৫০০ টাকা চাওয়ায় গালমন্দ, ঘুমন্ত অবস্থায় বড় ভাইকে খুন করলো ছোট ভাই সুনামগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে টাকা না পেয়ে বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগ ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিলেটে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর ওসমানীনগরের এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর পদে জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মৌলভীবাজারে বিএনপির ব্যানারের নিচে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবক গ্রেপ্তার সিলেটে ফের বেদখলে ফুটপাত বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৫
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে মারামারি গেলো ওসমানী হাসপাতাল পর্যন্ত, আহত ৭ আটক ৩ 

সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ব্রাদার ও স্থানীয় একটি হোটেলের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয়পক্ষ হাসপাতালে ফের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় হোটেলের কর্মচারীরা নার্সদের জিম্মি করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

উভয়পক্ষের মারামারিতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৩ জনকে।

জানা যায়, সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলায় একটি হোটেলে চা পান করছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ব্রাদার। এসময় তাদের পাশেই এক ব্যক্তি ধূমপান করছিলেন। ব্রাদাররা সিগারেটের ধোঁয়া বিরক্ত হওয়ায় তাকে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এতে হোটেলের কর্মচারীরাও জড়িয়ে পড়েন এবং ব্রাদারদের ওপর হামলা চালান। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন।

পরে ব্রাদাররা চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে আহত হোটেল কর্মচারীরাও সেখানে চিকিৎসা নিতে উপস্থিত হন। এতে আবারও তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হোটেল কর্মচারীরা হাসপাতালের ড্রেসিং রুমে ব্রাদারদেরসহ নার্সদের আটকে রেখে দরজা বন্ধ করে দেন।

ওসমানী হাসপাতাল পুলিশের কনস্টেবল বলরাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নার্স ও ব্রাদারদের উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, গিয়াস উদ্দিন (৩৫), মুসলিম উদ্দিন (৩৩) ও আব্দুর রহিম (২২)।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, আটক তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মিরবক্সটুলায় মারামারির ঘটনার জেরে হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জনপ্রিয়

সাদাপাথর লুট : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত

সিলেটে সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে মারামারি গেলো ওসমানী হাসপাতাল পর্যন্ত, আহত ৭ আটক ৩ 

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ব্রাদার ও স্থানীয় একটি হোটেলের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয়পক্ষ হাসপাতালে ফের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় হোটেলের কর্মচারীরা নার্সদের জিম্মি করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

উভয়পক্ষের মারামারিতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৩ জনকে।

জানা যায়, সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলায় একটি হোটেলে চা পান করছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ব্রাদার। এসময় তাদের পাশেই এক ব্যক্তি ধূমপান করছিলেন। ব্রাদাররা সিগারেটের ধোঁয়া বিরক্ত হওয়ায় তাকে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এতে হোটেলের কর্মচারীরাও জড়িয়ে পড়েন এবং ব্রাদারদের ওপর হামলা চালান। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন।

পরে ব্রাদাররা চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে আহত হোটেল কর্মচারীরাও সেখানে চিকিৎসা নিতে উপস্থিত হন। এতে আবারও তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হোটেল কর্মচারীরা হাসপাতালের ড্রেসিং রুমে ব্রাদারদেরসহ নার্সদের আটকে রেখে দরজা বন্ধ করে দেন।

ওসমানী হাসপাতাল পুলিশের কনস্টেবল বলরাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নার্স ও ব্রাদারদের উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, গিয়াস উদ্দিন (৩৫), মুসলিম উদ্দিন (৩৩) ও আব্দুর রহিম (২২)।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, আটক তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মিরবক্সটুলায় মারামারির ঘটনার জেরে হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।