সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক এলাকার রেললাইনের পাশে পাওয়া গেল এক কলেজ ছাত্রের বিচ্ছিন্ন নিথর দেহ। নাম তার মতিউর রহমান, বয়স মাত্র ২১। সে জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পানি ছড়া গ্রামের মৃত কুটু মিয়ার ছোট ছেলে তিনি। পড়তেন সিলেটের এমসি কলেজে, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। পাশাপাশি স্থানীয় এক মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন—বয়সের তুলনায় দায়িত্ব ছিল অনেক বেশি। তবে তার চেয়েও বেশি ছিল স্বপ্ন আর সম্ভাবনা।
বুধবার ২২ অক্টোবর সকালে গেল রেললাইনের ধারে, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহে। রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—মতিউরের এই পরিণতি কেন? কী এমন ঘটেছিল যার জন্য জীবন থেমে গেল এমন নির্মমভাবে?
পরিবারের বরাতে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে মতিউরের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জালালের সঙ্গে তার কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফাঁসের পর থেকেই মতিউর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, সেই মানসিক চাপই হয়তো তাকে ঠেলে দিয়েছে আত্মহননের পথে।
তার বড় ভাই রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মতিউর ছিল আমাদের সবচেয়ে ছোট, সবচেয়ে আদরের। পরীক্ষা চলছিল ওর। উপশহরের বোনের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি…
এলাকাবাসী বলছেন, মতিউর ছিলেন সুশৃঙ্খল, ভদ্র, মেধাবী। এমন ছেলের এমন পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ।
রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।