ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিগঞ্জ বাহুবল থানার রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের সামনে সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতরা সড়কে ডাকাতি করে।
এসময় যাত্রীদের সাথে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। গত (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকিয়ে ডাকাতি করে ডাকাতরা নিরাপদে চলে যায়। ‘নিউজ শ্রীমঙ্গল’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক ব্যক্তি লাইভে জানান, ‘রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের সামনে গাছ ফেলে অনেক গাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। সাতগাঁও পুলিশ হাইওয়ে থানায় ফোন করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। লাইভে তিনি জানান, প্রায় এক দেড় ঘণ্টার পর সাতগাঁও হাইওয়ে থানা ও কামাই ছড়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শ্রীমঙ্গলের বাসযাত্রী প্রত্যক্ষদর্শী শেখ আল নোমান জানান, আমি যে গাড়িতে ঢাকা থেকে আসছিলাম তার সামনের তিনটা গাড়ি ডাকাতি শেষে যখন আমাদের গাড়িতে আসবে সেই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর লোক চলে আসাতে আমাদের গাড়ির সবাইকে আল্লাহ হেফাজত করেছেন। মো. জামাল নামে এক যাত্রী জানান, রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের সামনে ভয়াবহ ডাকাতি হচ্ছে। এসময় আমরা সড়কে জ্যামে আটকা পড়ি। পুলিশ কল দিয়েছি, পুলিশ আসছি আসছি বলেছে, কিন্তু পুলিশ সময়মতো আর আসে নাই।
সাতগাঁও হাইওয়ে থানার ওসি সাইফুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সব ভোগাস কথা। আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি তখন সে লাইভ করেছে। আমার পার্টি ছিল আমতলী চাবাগানের পাশে, রশিদপুর আসতে পাঁচ সাত মিনিট লেগেছে। তার দাবি রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। কোন গাড়িতেই ডাকাতরা হাত দিতে পারে নাই। খালি একটা ড্রাম ট্রাক ছিল, এই এর ভিতরে আমরা সড়কে ফেলা গাছ কেটে সরিয়ে দেই। ঘটনাটি রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের পাশে ফিনলের পয়েন্টের পাশেই। ওসি জানান, আমরা যাওয়ার পরে ৭/৮টি গাড়ি দেখতে পাই। আমাদের পুলিশের গাড়ি দেখেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। আমরা যাওয়ার সাথে সাথে ৫/৭ মিনিটের মধ্যে কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশও আসে। আমি ফোন পাওয়ার সাথে সাথে মুভ করতে লেগেছে সাত মিনিট। আর আমার পার্টি আমতলী থেকে চলে আসতে ৩/৪ মিনিট লাগে। আর যে কয়টা গাড়ি সড়কের দুপাশে জমেছে সড়কে ফেলা গাছ কাটতে কাটতে যে সময়টা লাগে এ সময়টার মধ্যে। আমাদের আসতে ৭ মিনিট লেগেছে, আর গাছ কাটতে লাগছে ১০ মিনিট এই ১৭/১৮ মিনিট মোট সময় লেগেছে।