সিলেটে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
বুধবার দুপুরে প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ।
তবে, প্রতিবদেন কি কি বিষয় উঠে এসেছে, তা জানাননি জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা।
তবে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই জেলা প্র্রশাসকের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শের মাহবুব মুরাদ। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ছাড়েন তিনি। এরপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আগামীকাল বুধবার নতুন জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলমের দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ১২ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসত শেখ মাহবুব মুরাদ। এই কমিটিতে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিলো।
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসেন সিংহ। দুই সদস্য হলেন- কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম।
এ কমিটি গঠনের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। বিশেষত কমিটিতে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। সাদাপাথর লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থতা ও লুটপাটকারীদের ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে এই ইউএনওর বিরুদ্ধে।
সমালোচনার মুখে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়।
এর আগে, সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় ১৫শ থেকে ২ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো।