আগামী ২৪ আগস্ট হাইওয়ে পুলিশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের দুটি ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শিল্প এলাকা হবিগঞ্জ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক, শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে। এ এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি ইউনিটের চাহিদা ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে অলিপুর বাসির প্রাণের দাবি পূরণ হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিমের দূরদর্শী পরিকল্পনায়।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বেশ পুরনো শিল্প এলাকা। এই মহাসড়কের মাধবপুর এবং শায়েস্তাগঞ্জ অংশের দুই পাশ ঘেঁষে রয়েছে দেশের একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। সিলেট বিভাগের একমাত্র প্রবেশ পথ হওয়ায় প্রতিদিন এই মহাসড়কের অলিপুর কেন্দ্রিক নিয়মিত যানজট, সড়ক দুর্ঘটনা এবং চুরি ছিনতাই ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। এছাড়া ওই এলাকায় অবস্থিত হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ( প্রাণ – আরএফএল), স্কয়ার ডেনিম, বাদশা গ্রুপ, স্টার সিরামিকস, নেরোলাক পেইন্ট, আকিজ গ্রুপ,যমুনা গ্রুপ, বিএইচএল, ম্যাটাডোর ও তাপ্রিড কটন। প্রায় চল্লিশ হাজার কর্মী কাজ করে ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এরমধ্যে প্রাণ আরএফএল এর কর্মীই প্রায় ছাব্বিশ হাজার। চলতি জুলাই মাস পর্যন্তও অলিপুর ছিল অবৈধ দখলদারদের আনাগোনায় একটি বস্তির মত এলাকা।
সেখানে মাত্র ৩৬ দিনের ব্যবধানে তৈরি হয়েছে অনিন্দ্য সুন্দর পুলিশি স্থাপনা। এ স্থাপনার বাস্তবতায় নিশ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান, পরিবহন মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার মৌলিক অধিকার। তারা এই পুলিশি স্থাপনাকে দেখছেন একটি বিরল ঘটনা হিসেবে। স্থানীয়রা বলছেন এই স্থাপনার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ও কর্মকান্ডও।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের দুটি ক্যাম্প আগামী ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করবে। সম্পূর্ণ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় শিল্প মালিক, পরিবহন মালিক ও শুভাকাংখীদের সহায়তায় এই দৃষ্টিনন্দন পুলিশি স্থাপনাটি তৈরীর কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি গাজী জসীম উদ্দীনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।