মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার ও আলামত উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে নিজঘরে আব্দুর রহিম রাফি (২৬) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এবং কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু আফর মো. মাহফুজুল কবিরসহ থানার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গোপন সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গতকাল রবিবার (১০ আগস্ট) সে তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জানায়, গত ৮ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে রাফির কাছে সে ৫০০ টাকা চায়।
রাফি তাকে টাকা না দিয়ে গালিগালাজ এবং দুর্ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় বড় ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৭টায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাড়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তী সময় সে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে থাকে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা এবং তার ঘরের খাটের নিচ থেকে তার রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।