, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার সিলেটের ব্যবসায়ীরা সিলেটে টিলা কাটার অভিযোগে ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘শাহজালাল মাজারে শিরিক-বিদাআত ও অশ্লীলতা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে’ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটের রাজপথে এনসিপি ‘আমরা চাই তাড়াতাড়ি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক’ সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে হামলা : সাবেক এমপি হাবিব, কাউন্সিলরসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসা যুবক সিলেটে গ্রেপ্তার সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শ্রীঘরে সিলেট জেলা যুবদল নেতা কাশেম হাইটেক পার্ক, সিলেট-এ বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের নিমিত্তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

অনুমতি না থাকায় ভেঙ্গে দেয়া হলো মৌলভীবাজারের ১৪টি অবৈধ ইটভাটা 

যথাযথ অনুমতি না থাকায় মৌলভীবাজার জেলার ১৮টি অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ১৪টি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের থাকায় অন্য ৪টি ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, ১০ মার্চ রাজনগর উপজেলার মেসার্স রাবেয়া ব্রিকস (সাবেক দুলাল ব্রিকস) ও মেসার্স এম এফ ব্রিকস, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রেইবো ব্রিকস, নিউ মাহী ব্রিকস ও মাসফি ব্রিকস নামের ব্রিকস ফিল্ড ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া ৯ মার্চ জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অবৈধ ভাবে স্থাপিত ৪টি ইট ভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে কুলাউড়া উপজেলার লংলা ব্রিকস, এমএনএইচ ব্রিকস ও সোনালী ব্রিকস এবং জুড়ি উপজেলার এম কো ব্রিকস নামের ব্রিকস ফিল্ড। ৮ মার্চ কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩টি ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলো হচ্ছে, মেসার্স নির্মাণ ব্রিকস, আল মদিনা ব্রিকস ও মেসার্স এস এ ব্রিকস (সাবারী ব্রিকস)। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন জানান, এসব অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইট ভাটা অপসারণের নির্দেশনা মতে এসব ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইট ভাটা কর্তৃপক্ষের সুত্রে জানাগেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের অলহা এলাকায় অবস্থিত নিউ মাহী ব্রিকস ও মাসফি ব্রিকস এর মালিক সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: কামাল হোসেন এবং তাহার পরিবারের লোকজন। এছাড়া একই এলাকার রেইনবো ব্রিকস এর মালিক আব্দুল আজিজ।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তথ্য মতে, ২০১১ সালের ৬ জুন থেকে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নবায়ন না করায় এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বৈধ কোনো লাইলেন্স না থাকায় মোঃ মনির হোসেন খান মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জ এলাকার মেসার্স নির্মাণ ব্রিকসটিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় এবং ২০২০ সালের ৩১ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করায় একই এলাকায় মোঃ ছাত্তার মালিকানাধীন মেসার্স আল মদিনা ব্রিকসটিকেও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূয়াই এলাকায় অবস্থিত এম কো ব্রিকস নামের এই ব্রিকস ফিল্ডের মালিক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা চৌধুরী মিলি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধরের দেয়া তথ্য মতে ‘সাবারী ব্রিক’ এর পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র সহ বৈধ কাগজপত্রাধি না থাকায় বোল্ডডোজার দিয়ে ইট ভাটাটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ ব্রিকস ফিল্ডের মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো.আব্দুস শহীদের ভাই এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক।

জনপ্রিয়

সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার সিলেটের ব্যবসায়ীরা

অনুমতি না থাকায় ভেঙ্গে দেয়া হলো মৌলভীবাজারের ১৪টি অবৈধ ইটভাটা 

প্রকাশের সময় : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

যথাযথ অনুমতি না থাকায় মৌলভীবাজার জেলার ১৮টি অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ১৪টি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের থাকায় অন্য ৪টি ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, ১০ মার্চ রাজনগর উপজেলার মেসার্স রাবেয়া ব্রিকস (সাবেক দুলাল ব্রিকস) ও মেসার্স এম এফ ব্রিকস, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রেইবো ব্রিকস, নিউ মাহী ব্রিকস ও মাসফি ব্রিকস নামের ব্রিকস ফিল্ড ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া ৯ মার্চ জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অবৈধ ভাবে স্থাপিত ৪টি ইট ভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে কুলাউড়া উপজেলার লংলা ব্রিকস, এমএনএইচ ব্রিকস ও সোনালী ব্রিকস এবং জুড়ি উপজেলার এম কো ব্রিকস নামের ব্রিকস ফিল্ড। ৮ মার্চ কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩টি ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলো হচ্ছে, মেসার্স নির্মাণ ব্রিকস, আল মদিনা ব্রিকস ও মেসার্স এস এ ব্রিকস (সাবারী ব্রিকস)। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন জানান, এসব অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইট ভাটা অপসারণের নির্দেশনা মতে এসব ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইট ভাটা কর্তৃপক্ষের সুত্রে জানাগেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের অলহা এলাকায় অবস্থিত নিউ মাহী ব্রিকস ও মাসফি ব্রিকস এর মালিক সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: কামাল হোসেন এবং তাহার পরিবারের লোকজন। এছাড়া একই এলাকার রেইনবো ব্রিকস এর মালিক আব্দুল আজিজ।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তথ্য মতে, ২০১১ সালের ৬ জুন থেকে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নবায়ন না করায় এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বৈধ কোনো লাইলেন্স না থাকায় মোঃ মনির হোসেন খান মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জ এলাকার মেসার্স নির্মাণ ব্রিকসটিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় এবং ২০২০ সালের ৩১ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করায় একই এলাকায় মোঃ ছাত্তার মালিকানাধীন মেসার্স আল মদিনা ব্রিকসটিকেও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূয়াই এলাকায় অবস্থিত এম কো ব্রিকস নামের এই ব্রিকস ফিল্ডের মালিক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা চৌধুরী মিলি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধরের দেয়া তথ্য মতে ‘সাবারী ব্রিক’ এর পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র সহ বৈধ কাগজপত্রাধি না থাকায় বোল্ডডোজার দিয়ে ইট ভাটাটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ ব্রিকস ফিল্ডের মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো.আব্দুস শহীদের ভাই এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক।