সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে “জনদাবী আদায় পরিষদ জকিগঞ্জ”-এর নেতৃবৃন্দ উপজেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাতের সময় নেতৃবৃন্দ জকিগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং উপজেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে নদী ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, যিনি নদী ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন। চাপের মুখে তিনি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় জরুরি কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস প্রদান করেন।
জনদাবী আদায় পরিষদ-এর আহ্বায়ক মুফতি আবুল হাসান এবং সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ এর নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইকবাল আহমদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম রোকবানী চৌধুরী জাবেদ, খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আলা উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা জয়নুল ইসলাম, উপজেলা জমিয়তের সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কে এম মামুন, পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক বদরুল হক বাদল, পৌর ইসলাহ্ সভাপতি কাজী হিফজুর রহমান, উপজেলা জমিয়তের সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জমিল আহমদ, উপজেলা খেলাফত মজলিস সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, জেলা কৃষক দলের সদস্য মুনিম আহমদ জকিগঞ্জ ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কয়েছ আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভার জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ভাঙনে জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশ তার মানচিত্র হারাচ্ছে, অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হচ্ছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি ও অবহেলা, প্রতিকূল মৌসুমে কাজের চেষ্টা এই পরিস্থিতির অন্যতম প্রধান কারণ। তারা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। উপজেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন।