, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবদল নেতাকে হত্যা জকিগঞ্জে নদী ভাঙনের আশু সমাধানের দাবিতে উপজেলা প্রশাসক এর সাথে সাক্ষাৎ এবং স্মারকলিপি প্রদান যুবকদের মনুষ্যত্ববোধকে লালন করে মানবতার সেবা করে যেতে হবে : মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম সিলেটের দুই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : আক্রান্ত দুইজন ‘সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না’ সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েল ফেয়ার ফান্ড’ গঠনের উদ্যোগ গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

মৌলভীবাজারে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, তলিয়ে গেছে সড়ক ও বসতবাড়ি

মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার মনু ও জুড়ী নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলাই ও কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলার মনু নদে ২৯ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদী ১৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে জেলা শহর ও সদর উপজেলার মনু নদের তীরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বড়লেখা পৌর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, গত ৩ দিনে এই অঞ্চলে ২০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও ২-৩ দিন বৃষ্টির হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, ‘মনু ও জুড়ী নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে দ্রুত পানি নেমে যাবে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরে রাখছি। এখনো কোনো নদ-নদীতে ভাঙন দেখা দেয়নি।’

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বুলবুল আহমেদ বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জেলাসহ সব কয়টি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

মৌলভীবাজারে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, তলিয়ে গেছে সড়ক ও বসতবাড়ি

প্রকাশের সময় : ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার মনু ও জুড়ী নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলাই ও কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলার মনু নদে ২৯ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদী ১৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে জেলা শহর ও সদর উপজেলার মনু নদের তীরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বড়লেখা পৌর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, গত ৩ দিনে এই অঞ্চলে ২০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও ২-৩ দিন বৃষ্টির হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, ‘মনু ও জুড়ী নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে দ্রুত পানি নেমে যাবে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরে রাখছি। এখনো কোনো নদ-নদীতে ভাঙন দেখা দেয়নি।’

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বুলবুল আহমেদ বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জেলাসহ সব কয়টি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে।