, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে ভারী বর্ষণে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই নদ-নদীর পানি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেট বিভাগ জুড়েও ভারি বর্ষণ ও ধমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে রূপ নেয়। এতে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ভোররাত থেকে সিলেটে ভারিবর্ষণ ও ধমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিলেটজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছিল। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ছুটির দিনে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। জরুরী কাজ ব্যতীরেকে কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘটনায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩ মিলিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে ভারিবর্ষণ ও ধমকা হওয়া বহমান রয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আজ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দিনভর বৃষ্টিপাত হবে।

এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেদেশের আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাতের এই তথ্য রেকর্ড করেছে। ফলে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সকল নদ নদীতে পানি বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সিলেটের তথ্যমতে, সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদীসহ সবকটি নদনদীর পানি সমতলে মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবগুলো পয়েন্টেবিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কানাইঘাটে সুরমার পানি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সে.মি। সিলেটে পয়েন্টে ৭ দশমিক ২২ সে.মি , বিপৎসীমা ১০.৮ সে.মি.।

কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসিদে ৯ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১৫ .৪০ সে.মি। শেওলা পয়েন্টে ৮.২৯ সে.মি, বিপৎসীমা ১৩.০৫ সে.মি। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭.৫৭ সে.মি, বিপৎসীমা ৯.৪৫ সে.মি।

এছাড়া পাহাড়ি নদী কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ৮.৬৪ সে.মি, বিপৎসীমা ৮.৫৫ সে.মি। জৈন্তাপুরের সারি নদী ৯ সে.মি, বিপৎসীমা ১২.৩৫ সে.মি। জাফলং ডাউকি ৯.২০ সে.মি বিপৎসীমা ১৩ সে.মি। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন ৮.০৬ সে.মি, বিপৎসীমা ১০.৮২ সে.মি এবং একই বিপৎসীমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৮.১৬ সেন্টিমিটারে পৌছেছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেটের ওপর দিয়ে ভারি বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয়

সিলেটে ভারী বর্ষণে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই নদ-নদীর পানি

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেট বিভাগ জুড়েও ভারি বর্ষণ ও ধমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে রূপ নেয়। এতে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ভোররাত থেকে সিলেটে ভারিবর্ষণ ও ধমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিলেটজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছিল। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ছুটির দিনে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। জরুরী কাজ ব্যতীরেকে কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘটনায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩ মিলিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে ভারিবর্ষণ ও ধমকা হওয়া বহমান রয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আজ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দিনভর বৃষ্টিপাত হবে।

এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেদেশের আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাতের এই তথ্য রেকর্ড করেছে। ফলে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সকল নদ নদীতে পানি বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সিলেটের তথ্যমতে, সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদীসহ সবকটি নদনদীর পানি সমতলে মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবগুলো পয়েন্টেবিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কানাইঘাটে সুরমার পানি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সে.মি। সিলেটে পয়েন্টে ৭ দশমিক ২২ সে.মি , বিপৎসীমা ১০.৮ সে.মি.।

কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসিদে ৯ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১৫ .৪০ সে.মি। শেওলা পয়েন্টে ৮.২৯ সে.মি, বিপৎসীমা ১৩.০৫ সে.মি। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭.৫৭ সে.মি, বিপৎসীমা ৯.৪৫ সে.মি।

এছাড়া পাহাড়ি নদী কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ৮.৬৪ সে.মি, বিপৎসীমা ৮.৫৫ সে.মি। জৈন্তাপুরের সারি নদী ৯ সে.মি, বিপৎসীমা ১২.৩৫ সে.মি। জাফলং ডাউকি ৯.২০ সে.মি বিপৎসীমা ১৩ সে.মি। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন ৮.০৬ সে.মি, বিপৎসীমা ১০.৮২ সে.মি এবং একই বিপৎসীমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৮.১৬ সেন্টিমিটারে পৌছেছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেটের ওপর দিয়ে ভারি বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।