পর্যটন শিল্পের প্রসারে প্রবাসীদের অর্থায়নে সিলেটে গড়ে তোলা হয়েছিল দেশের প্রথম রিসোর্ট ও বিনোদন পার্ক জাকারিয়া হলিডে রিসোর্ট। শত কোটি টাকার এ রিসোর্টটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়-টিলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে অটুট রেখে গড়ে তোলা হয়েছে জেসটেট হলিডে রিসোর্ট তথা জাকারিয়া সিটি। এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র।
প্রায় ১৭ একর পাহাড়ি জমিতে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টের উদ্বোধন হয় ২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম. জাকারিয়া হোসেইন।
প্রায় শতভাগ প্রবাসীদের অর্থায়নে গড়ে তোলা রিসোর্টটির কলেবর বাড়ানোর জন্য নতুন প্রবাসীদের বিনিয়োগে সংযুক্ত করা হয়। জাকারিয়া হলিডে রিসোর্টের নাম হয়ে যায় এক্সেলসিয়র হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। বদলে যায় চেয়ারম্যানসহ অনেক পদের পরিচালক। নতুন বিনিয়োগে এই রিসোর্টে মূল্য দাঁড়ায় একশ কোটি টাকারও বেশি। নতুনভাবে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে হামলা-মামলা, দলাদলীসহ নানা ঝামেলায় জড়িয়ে যান প্রবাসীরা।
এই অবস্থায় রিসোর্টের প্রশাসনিক বিলাল উদ্দিন আহমদ সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তার দাবি করেন।
তিনি জানান, রিসোর্টের পরিচালকদের ভেদাভেদের কারণে রিসোর্টে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা জড়িত করছে একপক্ষ। এ অবস্থায় তারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এক্সেলসিয়রের বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. জিলু মিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত অভিযোগ করেন, প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে একপক্ষ। যার কারণে প্রবাসীরা দেশে আসতে ভয় পাচ্ছেন। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে প্রায় বছর জুড়ে লন্ডন থাকলেও তার বিরুদ্ধে এক পরিচালক তিনটি মামলা দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ঘিরে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’
আর এই রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. মো. জাকারিয়া হোসেইন বলেন, ‘প্রবাসীদের নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করলে প্রবাসী বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।’
যাকে ঘিরে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ সবার অভিযোগ, সেই সাবেক চেয়ারম্যান শাহ জামাল নূরুল হুদা জানান, প্রবাসীরা ক্ষমতার জন্য দলাদলি করায় তিনি চেয়ারম্যান ও পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের করেছেন।
সিলেট শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সদর উপজেলার খাদিমনগরে দৃষ্টিনন্দন এই রিসোর্ট অবস্থিত।