, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ২৬ বছর ধরে কাজ করছে : ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার সাদাপাথর লুটপাটে সিলেট জামায়াতের নিন্দা : জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্থি দাবি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে : সিলেট বিএনপি স্কলার্সহোম কলেজে বিজ্ঞানমেলা, অলিম্পিয়াড ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ইসলামী ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার কাউন্সিল সফলে প্রস্তুতি সভা শুক্রবার নজিরবিহীন লুটপাটে স্থবির সাদাপাথর, সৌন্দর্য ফেরাতে তৎপর প্রশাসন সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট: অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার সুনামগঞ্জে ৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

 

প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীব্র ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে পুরো সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার ফাযিলপুর এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে রাস্তা ও সেতু নদীতে ধসে পড়ে। পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি শুধু মাটি ও পলি ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভরাট করা হলেও তা টেকেনি। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ এবং গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকারের সরেজমিন পরিদর্শনের পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলা হয়নি। ফলে আজ পুরো রাস্তা ও কালভার্ট বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়নের হামসাপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামে প্রতিবছরই বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া এই দুর্যোগ বন্ধ হবে না।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পর পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বিকল্প রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার হাজারো মানুষ উপজেলা সদর, জেলা শহর ও হাটবাজারে যাতায়াত করতেন। এই ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকার জনগণ দ্রুত ও কার্যকর স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্পের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশের সময় : ০৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীব্র ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে পুরো সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার ফাযিলপুর এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে রাস্তা ও সেতু নদীতে ধসে পড়ে। পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি শুধু মাটি ও পলি ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভরাট করা হলেও তা টেকেনি। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ এবং গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকারের সরেজমিন পরিদর্শনের পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলা হয়নি। ফলে আজ পুরো রাস্তা ও কালভার্ট বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়নের হামসাপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামে প্রতিবছরই বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া এই দুর্যোগ বন্ধ হবে না।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পর পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বিকল্প রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার হাজারো মানুষ উপজেলা সদর, জেলা শহর ও হাটবাজারে যাতায়াত করতেন। এই ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকার জনগণ দ্রুত ও কার্যকর স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্পের দাবি জানিয়েছেন।