, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কাজে ফিরছেন সিলেটের চা শ্রমিকেরা জৈন্তাপুরে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন ‘মরহুম সৈয়দ কওছর আহমদ ইলিয়াস আলীর সাথে কাঁদে কাদঁ মিলিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন’ লালাবাজারে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন ওসমানীনগরে কৃষকের ধান কেটে দিলো আনসার সদস্যরা সিলেটে রেললাইনের পাশে ফোনে ব্যস্ত থাকা যুবককে ট্রেনের ধাক্কা সিলেটে ব্যবসায়ী শাহিন হত্যা মামলায় এক জনের ফাঁসি ও চার জনের যাবজ্জীবন ডা. জুবাইদার প্রত্যাবর্তনে বদলে যেতে পারে সিলেটের ‘হিসাব-নিকাশ’ বালাগঞ্জে অপরিকল্পিত সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ, নতুন নকশায় করা হবে উঁচু
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

 

প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীব্র ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে পুরো সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার ফাযিলপুর এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে রাস্তা ও সেতু নদীতে ধসে পড়ে। পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি শুধু মাটি ও পলি ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভরাট করা হলেও তা টেকেনি। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ এবং গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকারের সরেজমিন পরিদর্শনের পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলা হয়নি। ফলে আজ পুরো রাস্তা ও কালভার্ট বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়নের হামসাপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামে প্রতিবছরই বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া এই দুর্যোগ বন্ধ হবে না।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পর পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বিকল্প রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার হাজারো মানুষ উপজেলা সদর, জেলা শহর ও হাটবাজারে যাতায়াত করতেন। এই ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকার জনগণ দ্রুত ও কার্যকর স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্পের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশের সময় : ১৭ ঘন্টা আগে

 

প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীব্র ভাঙনে বালাগঞ্জ-খসরুপুর-শেরপুর সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে পুরো সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার ফাযিলপুর এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে রাস্তা ও সেতু নদীতে ধসে পড়ে। পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি শুধু মাটি ও পলি ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভরাট করা হলেও তা টেকেনি। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ এবং গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকারের সরেজমিন পরিদর্শনের পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলা হয়নি। ফলে আজ পুরো রাস্তা ও কালভার্ট বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়নের হামসাপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামে প্রতিবছরই বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া এই দুর্যোগ বন্ধ হবে না।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পর পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বিকল্প রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার হাজারো মানুষ উপজেলা সদর, জেলা শহর ও হাটবাজারে যাতায়াত করতেন। এই ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকার জনগণ দ্রুত ও কার্যকর স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্পের দাবি জানিয়েছেন।