, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটের কাটাগাং নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার জৈন্তাপুরে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন কৃষি জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির প্রধানতম হাতিয়ার : অতিরিক্ত পরিচালক ড.মোঃ মোশাররফ হোসেন মঙ্গলবার থেকে শুরু সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এপ্রিল মাসের ৩০ দিনে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩০ জন সুনামগঞ্জে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, আহত ৫ বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান ওসমানীনগরে গোয়ালাবাজার আদর্শ গণপাঠাগারের সাহিত্য আসর ও সুধী সমাবেশ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুনামগঞ্জে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, আহত ৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইউএনওকে অপসারণ করার দাবি জানান।

রবিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টর বাজার বোয়াল চত্বরে ‘বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসী’ ব্যানারে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের দিকে যাচ্ছিল। পরে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে মিছিল পৌঁছালে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে বাধা দেয় এবং হামলা চালায়।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পাঁচজন আহত হন। হামলাকারীরা এ সময় এক সাংবাদিকের দিকে তেড়ে এসে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তবে পরবর্তীতে তোপের মুখে পড়ে তারা মোবাইল ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, ইউএনও বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও মফিজুর রহমানের অপসারণের দাবি জানান। বক্তার আরো বলেন, ইউএনও মফিজুর রহমান সীমান্তের সকল চোরাচালানের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে দেদারসে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলেও অভিযোগ তুলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ‘দোসররা’ বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছে এবং এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ঘটনার সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছাড়া অন্য কোনো দলীয় নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রহমান বলেন, তিনি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান দমনে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে তা প্রায় শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার লিজ দেওয়া হয়েছে এবং সর্বোচ্চ দরদাতাই লিজ পেয়েছেন। তিনি মনে করেন, যারা লিজ পাননি, তারাই ক্ষুব্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, সকালে একটি মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

জনপ্রিয়

সিলেটের কাটাগাং নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সুনামগঞ্জে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, আহত ৫

প্রকাশের সময় : ২ ঘন্টা আগে

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইউএনওকে অপসারণ করার দাবি জানান।

রবিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টর বাজার বোয়াল চত্বরে ‘বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসী’ ব্যানারে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের দিকে যাচ্ছিল। পরে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে মিছিল পৌঁছালে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে বাধা দেয় এবং হামলা চালায়।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পাঁচজন আহত হন। হামলাকারীরা এ সময় এক সাংবাদিকের দিকে তেড়ে এসে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তবে পরবর্তীতে তোপের মুখে পড়ে তারা মোবাইল ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, ইউএনও বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও মফিজুর রহমানের অপসারণের দাবি জানান। বক্তার আরো বলেন, ইউএনও মফিজুর রহমান সীমান্তের সকল চোরাচালানের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে দেদারসে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলেও অভিযোগ তুলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ‘দোসররা’ বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছে এবং এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ঘটনার সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছাড়া অন্য কোনো দলীয় নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রহমান বলেন, তিনি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান দমনে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে তা প্রায় শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার লিজ দেওয়া হয়েছে এবং সর্বোচ্চ দরদাতাই লিজ পেয়েছেন। তিনি মনে করেন, যারা লিজ পাননি, তারাই ক্ষুব্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, সকালে একটি মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।