, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান ওসমানীনগরে গোয়ালাবাজার আদর্শ গণপাঠাগারের সাহিত্য আসর ও সুধী সমাবেশ সুনামগঞ্জে ১১ বছরে বজ্রপাতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু রেঙ্গা হাজীগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে লন্ডনে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল দাবানলের সাথে প্রচণ্ড বালুঝড়ের কবলেও ইসরাইল সিলেটের ২ হাজার ৫০০ চা শ্রমিকের পাঁচ মাসের মজুরি বকেয়া সিলেটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার সোমবার লন্ডন থেকে সিলেট আসছেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবে বিএনপি সিলেটে জামিনের বিরোধীতা করায় আদালত এলাকা থেকে বাদীকে অপহরণ করে মারধর
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে
সিলেটে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান

বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক সোলায়মান আহসান বলেছেন, মুকুল চৌধুরী ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি। তিনি বাস্তববাদীতায় বিশ্বাসী একজন স্বাধীনচেতা কবি হিসেবে নিরবে সাহিত্যের চর্চা করে গেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে ও অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মুকুল চৌধুরী নিজস্ব যোগ্যতায় সাহিত্য জগতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন।

এ দেশে একাত্তরের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মতো শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যখন নৈরাজ্য হানা দিয়ে আমাদের জাতিসত্তা ও আত্মপরিচয়, নিজস্বতা তছনছ করে দিচ্ছিল তখন এর বিপরীতে কতিপয় ব্যক্তি ইতিবাচক তৎপরতা ও সৃজনশীলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী অন্যতম। সত্তর দশকে চট্টগ্রাম, আশির দশকে সিলেট জেলায় কবি আফজাল চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘স্যাড জেনারেশন’ ও ‘সংলাপ সাহিত্য সংস্কৃতি ফ্রন্টে’র মাধ্যমে জমাট বাধে। কবি মুকুল চৌধুরী সংলাপের তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত শুধু ছিলেন না, মূল কর্মপরিকল্পের ধারায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। কবি আল মাহমুদের মতে ‘যে চার-পাঁচজন কবিকে আমি আশির দশকের অন্যতম কবি বলে মনে করি মুকুল চৌধুরী তাদেরই একজন।
তিনি আল্লাহর বিধান ইসলামের বাস্তব অনুসারী। তিনি ইসলাম ও মুসলিমের বিজয় দেখতে প্রত্যাশী ছিলেন।

তিনি শনিবার সন্ধ্যায় কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কবি কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক প্রাবন্ধিক জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক শাহ নজরুল ইসলাম ও দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি কবি আমিনুল ইসলাম, কবি রুহুল ফারুক, কবি বাছিত ইবনে হাবিব, কবি মুহিত চৌধুরী, কবি নাজমুল আনসারী, কবি আব্দুল মুকিত অপি, সহকারী অধ্যাপক এম. এ আজিজ, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, দি নিউ নেশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফি, এডভোকেট জুনেদ আহমদ, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, মো.কামরুজ্জান, ফজলুর রহমান জুয়েল, তাসনিমা খানম বিথী ও কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, কবি আফজাল চৌধুরীর পুত্র জুন্নুরাইন চৌধুরী ও কবি মুকুল চৌধুরীর পুত্র মাবরুর কবির চৌধুরী সায়েম।মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী ওমর ফারুক। মোনাজাত পরিচালনা করেন কবি ফয়জুল হক।

জনপ্রিয়

সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া

সিলেটে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান

প্রকাশের সময় : ১২ ঘন্টা আগে

বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক সোলায়মান আহসান বলেছেন, মুকুল চৌধুরী ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি। তিনি বাস্তববাদীতায় বিশ্বাসী একজন স্বাধীনচেতা কবি হিসেবে নিরবে সাহিত্যের চর্চা করে গেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে ও অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মুকুল চৌধুরী নিজস্ব যোগ্যতায় সাহিত্য জগতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন।

এ দেশে একাত্তরের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মতো শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যখন নৈরাজ্য হানা দিয়ে আমাদের জাতিসত্তা ও আত্মপরিচয়, নিজস্বতা তছনছ করে দিচ্ছিল তখন এর বিপরীতে কতিপয় ব্যক্তি ইতিবাচক তৎপরতা ও সৃজনশীলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী অন্যতম। সত্তর দশকে চট্টগ্রাম, আশির দশকে সিলেট জেলায় কবি আফজাল চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘স্যাড জেনারেশন’ ও ‘সংলাপ সাহিত্য সংস্কৃতি ফ্রন্টে’র মাধ্যমে জমাট বাধে। কবি মুকুল চৌধুরী সংলাপের তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত শুধু ছিলেন না, মূল কর্মপরিকল্পের ধারায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। কবি আল মাহমুদের মতে ‘যে চার-পাঁচজন কবিকে আমি আশির দশকের অন্যতম কবি বলে মনে করি মুকুল চৌধুরী তাদেরই একজন।
তিনি আল্লাহর বিধান ইসলামের বাস্তব অনুসারী। তিনি ইসলাম ও মুসলিমের বিজয় দেখতে প্রত্যাশী ছিলেন।

তিনি শনিবার সন্ধ্যায় কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কবি কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক প্রাবন্ধিক জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক শাহ নজরুল ইসলাম ও দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি কবি আমিনুল ইসলাম, কবি রুহুল ফারুক, কবি বাছিত ইবনে হাবিব, কবি মুহিত চৌধুরী, কবি নাজমুল আনসারী, কবি আব্দুল মুকিত অপি, সহকারী অধ্যাপক এম. এ আজিজ, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, দি নিউ নেশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফি, এডভোকেট জুনেদ আহমদ, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, মো.কামরুজ্জান, ফজলুর রহমান জুয়েল, তাসনিমা খানম বিথী ও কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, কবি আফজাল চৌধুরীর পুত্র জুন্নুরাইন চৌধুরী ও কবি মুকুল চৌধুরীর পুত্র মাবরুর কবির চৌধুরী সায়েম।মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী ওমর ফারুক। মোনাজাত পরিচালনা করেন কবি ফয়জুল হক।