, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে গ্রেফতারের পর আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে মৃত‍্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতার মুক্তির দাবিতে গোয়াইনঘাটে মানববন্ধনগ সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার ও সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত : দানবীর ড. রাগীব আলী সিলেটে সীমান্তে ৫৩ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করলো এনসিপি ইসরায়েলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সহায়তার প্রস্তাব দিলো ফিলিস্তিন ওসমানীনগরে এক রাতের ব্যবধানে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি হবিগঞ্জের মিরপুরের সানশাইন স্কুলে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ভিসিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সেরেস্তাদার কৃপাসিন্ধু দাস।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের বয়স ও যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে একটি তদন্ত করে।

তদন্তে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর (মো. হক মঈনুল চৌধুরী) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক ভিত্তিতে মোট ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ ও তাদের মেয়াদ বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।

এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ, শিক্ষাজীবনে তৃতীয় বিভাগ থাকার পরেও নিয়োগ, অ্যাডহক থেকে পদোন্নতি এবং ভিন্ন ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে গ্রেফতারের পর আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ভিসিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সেরেস্তাদার কৃপাসিন্ধু দাস।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের বয়স ও যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে একটি তদন্ত করে।

তদন্তে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর (মো. হক মঈনুল চৌধুরী) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক ভিত্তিতে মোট ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ ও তাদের মেয়াদ বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।

এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ, শিক্ষাজীবনে তৃতীয় বিভাগ থাকার পরেও নিয়োগ, অ্যাডহক থেকে পদোন্নতি এবং ভিন্ন ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।