, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান ওসমানীনগরে গোয়ালাবাজার আদর্শ গণপাঠাগারের সাহিত্য আসর ও সুধী সমাবেশ সুনামগঞ্জে ১১ বছরে বজ্রপাতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু রেঙ্গা হাজীগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে লন্ডনে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল দাবানলের সাথে প্রচণ্ড বালুঝড়ের কবলেও ইসরাইল সিলেটের ২ হাজার ৫০০ চা শ্রমিকের পাঁচ মাসের মজুরি বকেয়া সিলেটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার সোমবার লন্ডন থেকে সিলেট আসছেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবে বিএনপি সিলেটে জামিনের বিরোধীতা করায় আদালত এলাকা থেকে বাদীকে অপহরণ করে মারধর
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল গুনে নেন এএসআই

গভীর রাতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল বুঝে নিলেন এএসআই আব্দুল জব্বার। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে টু-আইসি পদে ছিলেন।

তিনি সম্প্রতি গভীর রাতে খনিজ বালি চুরিকাণ্ডে সহযোগিতার আয়, চিনি, বিড়ি, মাদককারবারিদের কাছ থেকে কালেকশান করা কয়েক লাখ টাকা থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, থানার ওসির পক্ষে বান্ডিলগুলো খাতা-কলমে হিসাব করে গুনে জমা রাখেন। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হোসেন সিকদারের ছেলে মাদককারবারি ও পুলিশের কথিত সোর্স বুলবুল সিকদার ওরফে ফিটিং বুলবুলের কাছ থেকে এসব টাকা নেন।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় জানতে চাইলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসে ঘুসের টাকার বান্ডিলগুলো বুঝে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বার। তারা বলেন, বুলবুলকে মোটরসাইকেলচালক হিসেবে দৈনিক বেতনে তারা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে জাদুকাটা নদীতে নিয়মিত খনিজ বালি পাথর চুরি করানো, পাড় কাটার হোতার কাছ থেকে ঈদ বোনাস হিসেবে পুলিশের জন্য ১০টি নতুন পাঞ্জাবি কেনার কথা বলে বুলবুল ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বুলবুলের মোবাইল ফোনে গত এক মাসের একটি কল লিস্ট প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই কল লিস্ট থেকে জানা যায়, বুলবুল সীমান্ত নদী জাদুকাটার এপার-ওপার লাউরগড়, ঢালারপাড়, ছড়ারপাড়, বিন্নাকুলি, ঘাগটিয়া, বড়টেক, গড়কাটি, ঘাগড়া, পাঠানপাড়া, রাজারগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নদীর খনিজ বালি পাথর চুরি, বালি পাথর কোয়ারি, মাটি বিক্রেতা, ভারতীয় মাদক, বিড়ি, কয়লা, গবাদিপশু (গরু-মহিষ) গাঁজা, ইয়াবা, চিনি, ফুচকা, কসমেটিকস, মসলা, বাসমতি চাল, ফলমুল, জুতা, গোল কাঠ কারবারি ও এলাকার পলিথিনকারবারিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

উপজেলার চন্দপুর গ্রামের বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রতি দিন ৬শ টাকা করে বেতন দেয় আইসি (আবুল কালাম স্যার) ও টু আইসি জব্বার স্যার।

সম্প্রতি গভীর রাতে তদন্ত কেন্দ্রের ব্যারাকের ভেতর এএসআই জব্বারের চেয়ার-টেবিলে বসে বুলবুল গুনে গুনে টাকার বান্ডিল তুলে দেয় এএসআই জব্বারের হাতে। জব্বার তখন খাটিয়ার উপর খালি গায়ে বসা, গুনে বুঝে বিছানার নিচে টাকার বান্ডিল রাখছিলেন, আবার খাতা বের করে কিছু লিখে রাখেন। সেই রাতে টাকার বান্ডিলগুলো কোথা থেকে আনা বা ওই টাকার উৎস কী? এসব বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বুলবুল বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।

সূত্র : যুগান্তর

জনপ্রিয়

সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া

সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল গুনে নেন এএসআই

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গভীর রাতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল বুঝে নিলেন এএসআই আব্দুল জব্বার। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে টু-আইসি পদে ছিলেন।

তিনি সম্প্রতি গভীর রাতে খনিজ বালি চুরিকাণ্ডে সহযোগিতার আয়, চিনি, বিড়ি, মাদককারবারিদের কাছ থেকে কালেকশান করা কয়েক লাখ টাকা থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, থানার ওসির পক্ষে বান্ডিলগুলো খাতা-কলমে হিসাব করে গুনে জমা রাখেন। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হোসেন সিকদারের ছেলে মাদককারবারি ও পুলিশের কথিত সোর্স বুলবুল সিকদার ওরফে ফিটিং বুলবুলের কাছ থেকে এসব টাকা নেন।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় জানতে চাইলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসে ঘুসের টাকার বান্ডিলগুলো বুঝে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বার। তারা বলেন, বুলবুলকে মোটরসাইকেলচালক হিসেবে দৈনিক বেতনে তারা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে জাদুকাটা নদীতে নিয়মিত খনিজ বালি পাথর চুরি করানো, পাড় কাটার হোতার কাছ থেকে ঈদ বোনাস হিসেবে পুলিশের জন্য ১০টি নতুন পাঞ্জাবি কেনার কথা বলে বুলবুল ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বুলবুলের মোবাইল ফোনে গত এক মাসের একটি কল লিস্ট প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই কল লিস্ট থেকে জানা যায়, বুলবুল সীমান্ত নদী জাদুকাটার এপার-ওপার লাউরগড়, ঢালারপাড়, ছড়ারপাড়, বিন্নাকুলি, ঘাগটিয়া, বড়টেক, গড়কাটি, ঘাগড়া, পাঠানপাড়া, রাজারগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নদীর খনিজ বালি পাথর চুরি, বালি পাথর কোয়ারি, মাটি বিক্রেতা, ভারতীয় মাদক, বিড়ি, কয়লা, গবাদিপশু (গরু-মহিষ) গাঁজা, ইয়াবা, চিনি, ফুচকা, কসমেটিকস, মসলা, বাসমতি চাল, ফলমুল, জুতা, গোল কাঠ কারবারি ও এলাকার পলিথিনকারবারিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

উপজেলার চন্দপুর গ্রামের বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রতি দিন ৬শ টাকা করে বেতন দেয় আইসি (আবুল কালাম স্যার) ও টু আইসি জব্বার স্যার।

সম্প্রতি গভীর রাতে তদন্ত কেন্দ্রের ব্যারাকের ভেতর এএসআই জব্বারের চেয়ার-টেবিলে বসে বুলবুল গুনে গুনে টাকার বান্ডিল তুলে দেয় এএসআই জব্বারের হাতে। জব্বার তখন খাটিয়ার উপর খালি গায়ে বসা, গুনে বুঝে বিছানার নিচে টাকার বান্ডিল রাখছিলেন, আবার খাতা বের করে কিছু লিখে রাখেন। সেই রাতে টাকার বান্ডিলগুলো কোথা থেকে আনা বা ওই টাকার উৎস কী? এসব বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বুলবুল বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।

সূত্র : যুগান্তর