, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ২৬ বছর ধরে কাজ করছে : ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার সাদাপাথর লুটপাটে সিলেট জামায়াতের নিন্দা : জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্থি দাবি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে : সিলেট বিএনপি স্কলার্সহোম কলেজে বিজ্ঞানমেলা, অলিম্পিয়াড ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ইসলামী ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার কাউন্সিল সফলে প্রস্তুতি সভা শুক্রবার নজিরবিহীন লুটপাটে স্থবির সাদাপাথর, সৌন্দর্য ফেরাতে তৎপর প্রশাসন সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট: অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার সুনামগঞ্জে ৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল গুনে নেন এএসআই

গভীর রাতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল বুঝে নিলেন এএসআই আব্দুল জব্বার। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে টু-আইসি পদে ছিলেন।

তিনি সম্প্রতি গভীর রাতে খনিজ বালি চুরিকাণ্ডে সহযোগিতার আয়, চিনি, বিড়ি, মাদককারবারিদের কাছ থেকে কালেকশান করা কয়েক লাখ টাকা থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, থানার ওসির পক্ষে বান্ডিলগুলো খাতা-কলমে হিসাব করে গুনে জমা রাখেন। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হোসেন সিকদারের ছেলে মাদককারবারি ও পুলিশের কথিত সোর্স বুলবুল সিকদার ওরফে ফিটিং বুলবুলের কাছ থেকে এসব টাকা নেন।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় জানতে চাইলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসে ঘুসের টাকার বান্ডিলগুলো বুঝে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বার। তারা বলেন, বুলবুলকে মোটরসাইকেলচালক হিসেবে দৈনিক বেতনে তারা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে জাদুকাটা নদীতে নিয়মিত খনিজ বালি পাথর চুরি করানো, পাড় কাটার হোতার কাছ থেকে ঈদ বোনাস হিসেবে পুলিশের জন্য ১০টি নতুন পাঞ্জাবি কেনার কথা বলে বুলবুল ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বুলবুলের মোবাইল ফোনে গত এক মাসের একটি কল লিস্ট প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই কল লিস্ট থেকে জানা যায়, বুলবুল সীমান্ত নদী জাদুকাটার এপার-ওপার লাউরগড়, ঢালারপাড়, ছড়ারপাড়, বিন্নাকুলি, ঘাগটিয়া, বড়টেক, গড়কাটি, ঘাগড়া, পাঠানপাড়া, রাজারগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নদীর খনিজ বালি পাথর চুরি, বালি পাথর কোয়ারি, মাটি বিক্রেতা, ভারতীয় মাদক, বিড়ি, কয়লা, গবাদিপশু (গরু-মহিষ) গাঁজা, ইয়াবা, চিনি, ফুচকা, কসমেটিকস, মসলা, বাসমতি চাল, ফলমুল, জুতা, গোল কাঠ কারবারি ও এলাকার পলিথিনকারবারিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

উপজেলার চন্দপুর গ্রামের বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রতি দিন ৬শ টাকা করে বেতন দেয় আইসি (আবুল কালাম স্যার) ও টু আইসি জব্বার স্যার।

সম্প্রতি গভীর রাতে তদন্ত কেন্দ্রের ব্যারাকের ভেতর এএসআই জব্বারের চেয়ার-টেবিলে বসে বুলবুল গুনে গুনে টাকার বান্ডিল তুলে দেয় এএসআই জব্বারের হাতে। জব্বার তখন খাটিয়ার উপর খালি গায়ে বসা, গুনে বুঝে বিছানার নিচে টাকার বান্ডিল রাখছিলেন, আবার খাতা বের করে কিছু লিখে রাখেন। সেই রাতে টাকার বান্ডিলগুলো কোথা থেকে আনা বা ওই টাকার উৎস কী? এসব বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বুলবুল বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।

সূত্র : যুগান্তর

জনপ্রিয়

ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল গুনে নেন এএসআই

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গভীর রাতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘুসের টাকার বান্ডিল বুঝে নিলেন এএসআই আব্দুল জব্বার। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে টু-আইসি পদে ছিলেন।

তিনি সম্প্রতি গভীর রাতে খনিজ বালি চুরিকাণ্ডে সহযোগিতার আয়, চিনি, বিড়ি, মাদককারবারিদের কাছ থেকে কালেকশান করা কয়েক লাখ টাকা থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, থানার ওসির পক্ষে বান্ডিলগুলো খাতা-কলমে হিসাব করে গুনে জমা রাখেন। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হোসেন সিকদারের ছেলে মাদককারবারি ও পুলিশের কথিত সোর্স বুলবুল সিকদার ওরফে ফিটিং বুলবুলের কাছ থেকে এসব টাকা নেন।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় জানতে চাইলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসে ঘুসের টাকার বান্ডিলগুলো বুঝে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বার। তারা বলেন, বুলবুলকে মোটরসাইকেলচালক হিসেবে দৈনিক বেতনে তারা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে জাদুকাটা নদীতে নিয়মিত খনিজ বালি পাথর চুরি করানো, পাড় কাটার হোতার কাছ থেকে ঈদ বোনাস হিসেবে পুলিশের জন্য ১০টি নতুন পাঞ্জাবি কেনার কথা বলে বুলবুল ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বুলবুলের মোবাইল ফোনে গত এক মাসের একটি কল লিস্ট প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই কল লিস্ট থেকে জানা যায়, বুলবুল সীমান্ত নদী জাদুকাটার এপার-ওপার লাউরগড়, ঢালারপাড়, ছড়ারপাড়, বিন্নাকুলি, ঘাগটিয়া, বড়টেক, গড়কাটি, ঘাগড়া, পাঠানপাড়া, রাজারগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নদীর খনিজ বালি পাথর চুরি, বালি পাথর কোয়ারি, মাটি বিক্রেতা, ভারতীয় মাদক, বিড়ি, কয়লা, গবাদিপশু (গরু-মহিষ) গাঁজা, ইয়াবা, চিনি, ফুচকা, কসমেটিকস, মসলা, বাসমতি চাল, ফলমুল, জুতা, গোল কাঠ কারবারি ও এলাকার পলিথিনকারবারিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

উপজেলার চন্দপুর গ্রামের বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রতি দিন ৬শ টাকা করে বেতন দেয় আইসি (আবুল কালাম স্যার) ও টু আইসি জব্বার স্যার।

সম্প্রতি গভীর রাতে তদন্ত কেন্দ্রের ব্যারাকের ভেতর এএসআই জব্বারের চেয়ার-টেবিলে বসে বুলবুল গুনে গুনে টাকার বান্ডিল তুলে দেয় এএসআই জব্বারের হাতে। জব্বার তখন খাটিয়ার উপর খালি গায়ে বসা, গুনে বুঝে বিছানার নিচে টাকার বান্ডিল রাখছিলেন, আবার খাতা বের করে কিছু লিখে রাখেন। সেই রাতে টাকার বান্ডিলগুলো কোথা থেকে আনা বা ওই টাকার উৎস কী? এসব বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বুলবুল বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।

সূত্র : যুগান্তর