মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দিনদুপুরে সরকারের ইজারা দেওয়া জলাশয় থেকে মাছ লুট করা হচ্ছে। কার আগে কে কত বেশি মাছ ধরতে পারে যেন তার প্রতিযোগিতা চলছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সদর উপজেলার একটি জলমহালের প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করা হয়। এতে অংশ নেয় সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর (আফরোগঞ্জ) পৃর্ববেরি (বদ্ধ) বিল। বিলের ইজারাদার খবর পান তার বিলের মাছ লুটপাট করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি ইজারাদার স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে ওই বিলে অবস্থান নেয় স্থানীয় শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। কিন্ত তাতে কোনোও লাভ হয়নি। খলিলপুর বিলের (আশপাশে) প্রায় ৩/৪ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে জলমহালটির অপরিপক্ব মাছ লুট করে নেন।
কাদির নামের একজন বলেন, ‘বিল থেকে শখের বশে একটা মাছ ধরেছি। বাসায় নিয়ে খাব।’
কুশিয়ারা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বিলের ইজারাদার পরবেশ আলী বলেন, ‘আমাদের সব শেষ। আমরা বিলের ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্ত দিনদুপুরে বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলার ১০ জলমহালের মাছ লুট, নির্বিকার প্রশাসন
মৌলভীবাজার শেরপুর সদও পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ মিয়া বলেন, ‘সদর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাসহ আমরা বিলে অবস্থান করি, যাতে কেউ লুটপাট করতে না পারেন।’
‘কিন্তু সেখানে এত পরিমাণ মানুষ যে তাদের সামাল দিতে বেগ পেতে হয়, তবে বিল মালিক অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব,’ বলেন তিনি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১ নম্বর খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি শুনেছি মৌলভীবাজার আইনপুর মৌজার পুর্ব বেরি বিলের (বদ্ধ) আশপাশের এলাকার লোকজন (সৌখিন পালো বাওয়া) সরকারি ইজারা জমমহালের মাছ লুট করেছে