, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করলো এনসিপি ইসরায়েলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সহায়তার প্রস্তাব দিলো ফিলিস্তিন ওসমানীনগরে এক রাতের ব্যবধানে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি হবিগঞ্জের মিরপুরের সানশাইন স্কুলে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জাফলংয়ে বালু-পাথর উত্তোলনের জন্য রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়-টিলা ঢাকা থেকে আগত জাতীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময় দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কর্মে অবদান : সম্মানজনক ‘আইজি ব্যাজ’ পেলেন এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু সিলেট বিভাগের প্রথম ডিআইজি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা মিসবাহ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫) এবং মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ (১৯), লক্ষণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।

পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার কালিশপুর ইউনিয়নের নজিরের সঙ্গে প্রতিবেশী মিসবাহের পূর্বশত্রুতা ছিল। তাই অগ্রণী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা মিসবাহকে খুনের পরিকল্পনা করেন নজির। তিনি দুই বছর আগে চাঁদনীঘাট হোটেলে কাজ করার সময় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষণের সঙ্গে পরিচিত হন। লক্ষণের মাধ্যমে মিসবাহকে খুনের জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করেন নজির। সেই সঙ্গে খুনিদের মোবাইল ফোনে মিসবাহের ছবি পাঠান।

৬ এপ্রিল রাতে ভাড়াটে খুনিরা আইনজীবী সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উভয় পক্ষে ভিডিও কলে কথা হলে নজির খুনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে মিসবাহ ভেবে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সুজনের ওপর ১০-১২ জন অতর্কিত হামলা করেন। তাঁরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুজনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৮ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামি নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। নজির মিয়াকে আটক করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব ডিজিটাল প্রমাণ আমরা উদ্ধার করেছি।’

জনপ্রিয়

সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করলো এনসিপি

মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা মিসবাহ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫) এবং মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ (১৯), লক্ষণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।

পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার কালিশপুর ইউনিয়নের নজিরের সঙ্গে প্রতিবেশী মিসবাহের পূর্বশত্রুতা ছিল। তাই অগ্রণী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা মিসবাহকে খুনের পরিকল্পনা করেন নজির। তিনি দুই বছর আগে চাঁদনীঘাট হোটেলে কাজ করার সময় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষণের সঙ্গে পরিচিত হন। লক্ষণের মাধ্যমে মিসবাহকে খুনের জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করেন নজির। সেই সঙ্গে খুনিদের মোবাইল ফোনে মিসবাহের ছবি পাঠান।

৬ এপ্রিল রাতে ভাড়াটে খুনিরা আইনজীবী সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উভয় পক্ষে ভিডিও কলে কথা হলে নজির খুনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে মিসবাহ ভেবে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সুজনের ওপর ১০-১২ জন অতর্কিত হামলা করেন। তাঁরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুজনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৮ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামি নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। নজির মিয়াকে আটক করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব ডিজিটাল প্রমাণ আমরা উদ্ধার করেছি।’