, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল সিলেটের কাটাগাং নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার জৈন্তাপুরে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন কৃষি জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির প্রধানতম হাতিয়ার : অতিরিক্ত পরিচালক ড.মোঃ মোশাররফ হোসেন মঙ্গলবার থেকে শুরু সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এপ্রিল মাসের ৩০ দিনে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩০ জন সুনামগঞ্জে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, আহত ৫ বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ সিলেট আসছেন না, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরছেন খালেদা জিয়া মুকুল চৌধুরী একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি : সোলায়মান আহসান
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরো

সিলেট অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে বোরো ধান। ইতিমধ্যে ধান পাকা শুরু হয়েছে। হাওরাঞ্চলের কৃষকরা এরই মধ্যে কাটতেও শুরু করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৫২১ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটার উৎসব শুরু হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলছেন, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে আবহাওয়ার ভালো। এর মধ্যে বোরো ধান পুরোদমে কাটা শুরু হয়ে যাবে। এবার ভালো ফলন আশা করছেন তারা। কৃষকরাও আশা করছেন, এই বছর আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব না পড়লে, ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই বছর সিলেট অঞ্চলে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৬ হেক্টর। এবার হাওরে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮১৩ হেক্টর এবং নন হাওরে ছিল দুই লাখ ২০ হাজার ৯৩৩ হেক্টর। হাওরে আবাদ হয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৮০৩ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। আর নন হাওরে আবাদ হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ৪১৬ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ২৩ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে গড় আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চলের মধ্যে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলায় আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই জেলায় দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্য পূরণ করে চাষীরা আবাদ করেছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবাদ হয়েছে হবিগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮৪৭ হেক্টর। এছাড়া সিলেট জেরায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৮৭ হাজার ৫০০ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর। মৌলভীবাজার জেলায় ৬২ হাজার একশ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ২৩৫ হেক্টর।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এরই মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৭৩ হেক্টর, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৪৯ হেক্টর এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেছেন, ধান পাকা শুরু হওয়ায় কৃষকরা কাটা শুরু করেছেন। হাওরের আশপাশের এলাকায়ও ধান কাটার প্রস্তুতি চলছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৫ তারিখ পর্যন্ত সিলেটের আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

তারা আশা করছেন, পরবর্তী ১৫ দিনের আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা শতভাগ ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে পারবেন।

জনপ্রিয়

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

সিলেটে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরো

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সিলেট অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে বোরো ধান। ইতিমধ্যে ধান পাকা শুরু হয়েছে। হাওরাঞ্চলের কৃষকরা এরই মধ্যে কাটতেও শুরু করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৫২১ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটার উৎসব শুরু হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলছেন, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে আবহাওয়ার ভালো। এর মধ্যে বোরো ধান পুরোদমে কাটা শুরু হয়ে যাবে। এবার ভালো ফলন আশা করছেন তারা। কৃষকরাও আশা করছেন, এই বছর আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব না পড়লে, ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই বছর সিলেট অঞ্চলে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৬ হেক্টর। এবার হাওরে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮১৩ হেক্টর এবং নন হাওরে ছিল দুই লাখ ২০ হাজার ৯৩৩ হেক্টর। হাওরে আবাদ হয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৮০৩ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। আর নন হাওরে আবাদ হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ৪১৬ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ২৩ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে গড় আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চলের মধ্যে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলায় আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই জেলায় দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্য পূরণ করে চাষীরা আবাদ করেছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবাদ হয়েছে হবিগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮৪৭ হেক্টর। এছাড়া সিলেট জেরায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৮৭ হাজার ৫০০ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর। মৌলভীবাজার জেলায় ৬২ হাজার একশ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ২৩৫ হেক্টর।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এরই মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৭৩ হেক্টর, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৪৯ হেক্টর এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেছেন, ধান পাকা শুরু হওয়ায় কৃষকরা কাটা শুরু করেছেন। হাওরের আশপাশের এলাকায়ও ধান কাটার প্রস্তুতি চলছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৫ তারিখ পর্যন্ত সিলেটের আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

তারা আশা করছেন, পরবর্তী ১৫ দিনের আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা শতভাগ ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে পারবেন।