ফিলিস্তিনে ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বন্দরবাজারস্থ বাটা সু স্টোর, বনফুল, পিউরিয়া, মিরবক্সটুলাস্থ হোটেল রয়েল মার্কসহ ভাংচুরকৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তারা। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন- ভাংচুর-লুটপাটে জড়িত দুস্কৃতিকারীদের কঠোর হস্থে দমন করতে হবে। এরা তৌহিদী জনতা হতে পারেনা। এদের একটাই পরিচয় এরা দুর্বৃত্ত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে আটক করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তারা।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা মাসুক আহমদ, ব্যবসায়ী নুরুল আলম, নিয়াজ মোঃ আজিজুল করিম, নগর জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম ও পারভেজ আহমদ প্রমূখ।
পরিদর্শনকালে সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার নগরীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে দুর্বৃত্তরা নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আমরা এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডে বিস্মিত, ব্যাতিত ও ক্ষুব্দ। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকে ইসলাম সমর্থন করেনা। হামলাকারী রাজনৈতিক দল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। ভাংচুরকৃত সকল প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এসব সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটে জড়িতদের চিহ্নিত অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।